মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লেও দেশে বাড়ানো হবে না

মধ্যেপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। এ ঘটনায় হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে জ্বালানি তেলের বাজার। এ পযর্ন্ত ৪ শতাংশ বেড়েছে এবং পড়ে তা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) চেয়ারম্যান মো. সামছুর রহমান বলেছেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লেও দেশে বাড়ানো হবে না।

ইরাকে মার্কিন হামলায় কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলেমানি নিহত হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী তেলের দাম ৪ শতাংশ বেড়ে গিয়ে প্রায় ৭০ ডলারে পৌঁছেছে। এই দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

বিশ্লেষকদের ধারণা, জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের দীর্ঘ দিনের বিরোধ আরও জোরালো হতে পারে। এর প্রভাব জ্বালানি তেলের ওপরে পড়বে।

বিশ্বে ব্যবহৃত প্রায় ৫ ভাগের ১ ভাগ তেল হরমুজ প্রণালী দিয়ে সঞ্চালিত হয়। এই প্রণালীর উত্তর উপকূলে ইরানের অবস্থান। ইরান এই প্রণালী দিয়ে তেল পরিবহনে বাধা দিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে। অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সরবরাহ কমে গেলে, আগামীতে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকার সম্ভাবনাই দেখছেন বিশ্লেষকরা।

তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ জানান, আমাদের যে আমদানি ব্যয় হয়, তার বড় একটি অংশই তেল আমদানির কারণে ব্যয় করতে হয়। সুতরাং তেলের দাম বাড়লে তার প্রভাব অনেক বেশি হবে। তেলের সাথে দেশের পরিবহন ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, অন্যান্য শিল্প কারখানা জড়িত, তেলের দাম বাড়লে এগুলোর উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। আমদানি ব্যয় বাড়লে আমদানি রপ্তানি ব্যয় বৈষম্যও বাড়বে। তেলের দাম বাড়লে এর সর্বোপরি প্রভাব জনজীবনের ওপর পড়বে।

আরও পড়ুনঃ  ২০২৩ সালে তেলের উত্তোলন বাড়াবে রাশিয়া

অন্যদিকে বিশ্ববাজারে বাড়লেও বাংলাদেশে তেলের দাম বাড়বে না বলছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।

আনন্দবাজার/ইউএসএস

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন