নেত্রকোণার বারহাট্রায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বাহারি রঙের ফুলকপি। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় ব্যাপক সারা ফেলেছে এলাকায়। খেতে সুস্বাদু ও দেখতে আকর্ষনীয় হওয়ায় প্রতিদিনই ভীড় করছেন স্থানীয় কৃষকসহ উৎসুক জনতা। কেউ নিচ্ছেন পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি। কৃষি বিভাগ বলছে এটি উচ্চ প্রোটিন ও ঔষধী গুন সমুদ্ধ সবজি। ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদা থাকায় এর আবাদ সম্প্রসারনের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে।
নেত্রকোণা জেলার বারহাট্রা উপজেলার মনাষ গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন প্রকার সবজি আবাদ করে যাচ্ছেন। এবছর তিনি ৪০শতক জমিতে নানা জাতের সবজির আবাদ করেছেন। এর মধ্যে ২০শতক জমিতে চাষ করেছেন রঙ্গীন ফুল কপি। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় ফুলকপি বীজ সংগ্রহ করে ছিলেন তিনি। তার বাগানে হলুদ, বেগুনি, লাল ও সাদা রঙের ফুল কপি রয়েছে। বীজ ও চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ১লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে বিক্রিও শুরু করেছেন তিনি। প্রতিটি কপি মাঠেই বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তিনি আশা করছেন, এই রঙ্গিন ফুলকপিগুলো ৪ থেকে ৫লাখ টাকার মতো বিক্রি করতে পারবেন।
রঙিন এসব ফুলকপি দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার কৃষকসহ সাধারণ মানুষ তার বাগানে ভীড় করছেন। কেউ নিচ্ছেন চাষের পরামর্শ আবার কেউ তুলছেন ছবি। বাহারি রং ও এর বাজার মূল্য ভালো থাকায় তার দেখাদেখি স্থানীয় অনেক কৃষকই এখন রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
বারহাট্টা উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাকিবুল হাসান বলেন, গেল বছর এটি ছোট আকারে আবাদ করা হলেও এবছর বিভিন্ন কৃষক দ্বারা ১শ ৫০শতক জমিতে বাহারি রঙের ফুলকপির আবাদ করা হয়েছে। এটি পুষ্টিকর ও উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ সবজি । বিশেষকরে এটিতে এন্টি ক্যান্সারের উপাদান রয়েছে । তাছাড়া ভোক্তা পর্যায়ে এর চাহিদা থাকায় এর আবাদ সম্প্রসারনের ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে।
আনন্দবাজার/কআ