ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আসছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা

স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আসছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা

দেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের এবার স্বাস্থ্যবীমার আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য তৈরি করা হচ্ছে রূপরেখাও। স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট এ তথ্য জানিয়েছে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেখানে স্বাস্থ্যখাতে কোনও সুশাসন নেই, সেখানে এমন উদ্যোগের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দেশে চিকিৎসা নিতে যে খরচটা হয়, সেটার প্রায় ৭০ ভাগই যায় সাধারণের পকেট থেকেই। পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই ব্যয়ের যে হার সবচেয়ে বেশি। এমনই বাস্তবতায় সব মানুষকে স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার রুপরেখা তৈরি করছে সরকার। যা নিয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট।

বলা হচ্ছে, প্রথমে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের জন্য চালু হবে। পরে আওতায় আসবেন দেশবাসী।

স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের ফোকাল পারসন ডা. সুব্রত পাল এ বিষয়ে জানান, দেশের একদম নিম্নশ্রেণির যারা রয়েছেন, যেমন রিকশাচালক, দিনমজুর সবার আগে বীমা তাদের দরকার। কিন্তু দেশের ইনফর্মাল এই শ্রেণির জন্য যেটার ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন। তাই আমরা সরকারি কর্মচারিদের বীমার ব্যবস্থা করছি। কারণ, তাদের এর আওতায় আনা সহজ।

স্বাস্ব্যখাতে সুশাসন ছাড়া এই উদ্যোগ অহেতুক বলে মনে করছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলী জানান, এই যে ট্রিটমেন্ট প্রটোকল, প্রেসক্রিপশন অডিটিং, ওষুধ কোম্পানির প্রমোশন- এগুলো যতদিন পর্যন্ত আইনের আওতায় এনে থামানো না যাবে, ততদিন পর্যন্ত ভালো কিছু আশা করা যাবে না।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় এই বীমা কেমন হবে তারও রুপরেখা থাকা উচিত বলে মনে করেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যবীমা শুরুর আগে অবশ্যই পাইলটিং করা উচিত বলে মত দেন ডা. লিয়াকত আলী।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন