ভারত ১২ ও ১৩ জানুয়ারি বিশেষ ভার্চুয়াল সামিটের আয়োজন করেছে। ‘ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট’ ‘ইউনিটি অফ ভয়েস, ইউনিটি অফ পারপাস’ থিমের অধীনে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে একত্রিত করার পরিকল্পনায় আওতায় এটি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১২০ টির অধিক দেশকে শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
গত শুক্রবার ভারতের দিল্লিস্থ মিনিস্ট্রি অব এক্সটার্নাল অ্যাফায়ার্সের ওয়েব সাইটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়, উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রয়াসের দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং ভারতের বাসুধৈব কুটুম্বকমের দর্শন দ্বারা অনুপ্রাণিত। ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিট আলোচনায় অংশীদার দেশগুলো থেকে উৎপন্ন মূল্যবান পরামর্শগুলো বিশ্বব্যাপী যথাযথ জ্ঞান প্রাপ্ত হয়, তা নিশ্চিত করতে ভারত কাজ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এ২০-এর ভারতের চলমান প্রেসিডেন্সি সেই সমস্ত দেশগুলোর জন্য একটি বিশেষ এবং শক্তিশালী সুযোগ প্রদান করে। যেগুলো এ২০ প্রক্রিয়ার অংশ নয় এ২০ থেকে তাদের ধারণা এবং প্রত্যাশাগুলো ভাগ করে নেওয়ার। এটি প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে ভারতের এ২০ প্রেসিডেন্সি শুধুমাত্র আমাদের এ২০ অংশীদারদের সাথে নয়, গ্লোবাল সাউথের আমাদের সহযাত্রীদের সাথেও আলোচনা করে গঠন করা হবে। যাদের কণ্ঠস্বর প্রায়শই শোনা যায় না।
শীর্ষ সম্মেলনে দশটি অধিবেশনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১২ জানুয়ারি চারটি অধিবেশন এবং ১৩ জানুয়ারি ছয়টি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি অধিবেশনে ১০-২০টি দেশের নেতা/মন্ত্রীদের অংশগ্রহণের প্রত্যাশিত।
উদ্বোধনী ও সমাপনী অধিবেশন রাষ্ট্রপ্রধান/সরকার পর্যায়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা হোস্ট করা হবে। উদ্বোধনী নেতাদের অধিবেশনের থিম হল ‘ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ-মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নের জন্য’ এবং সমাপনী নেতাদের অধিবেশনের বিষয় হল ‘উদ্দেশ্যের কণ্ঠস্বরের ঐক্য’।
এছাড়াও নিম্নলিখিত থিমসহ ৮টি মন্ত্রী পর্যায়ের অধিবেশন হবে:
১. ‘জনগণকেন্দ্রিক উন্নয়নে অর্থায়ন’ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীদের অধিবেশন।
২. পরিবেশমন্ত্রীদের অধিবেশন ‘পরিবেশ বান্ধব লাইফস্টাইল (লাইফ) এর সাথে বৃদ্ধির ভারসাম্য বজায় রাখা’।
৩. গ্লোবাল সাউথের অগ্রাধিকার- ‘একটি উপযোগী পরিবেশ নিশ্চিত করা’ বিষয়ক পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশন
৪. ‘শক্তি নিরাপত্তা ও উন্নয়ন- সমৃদ্ধির রোডম্যাপ’ বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রীদের
অধিবেশন।
৫. ‘স্থিতিস্থাপক স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সহযোগিতা’ বিষয়ক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের অধিবেশন।
৬. ‘মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক শিক্ষামন্ত্রীদের অধিবেশন।
৭. ‘গ্লোবাল সাউথ- বাণিজ্য, প্রযুক্তি, পর্যটন এবং সম্পদে উন্নয়নশীল সমন্বয়’ বিষয়ক বাণিজ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রীদের অধিবেশন এবং ৮. ‘এ-২০: ভারতের প্রেসিডেন্সির জন্য প্রস্তাবনা’ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অধিবেশন।
আনন্দবাজার/কআ