ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ৫৫ বছর পর মামলা করলেন ‘রোমিও-জুলিয়েট’

যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ৫৪ বছর পর মামলা করলেন 'রোমিও-জুলিয়েট'

চারটি অস্কার জয়ী চলচ্চিত্র ‘রোমিও এন্ড জুলিয়েট’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৮ সালে। মুক্তির পর রীতিমত তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল লিওনার্দো হোয়াটিং ও অলিভিয়া হাসি অভিনীত ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’।

ছবির একটা দৃশ্য নিয়ে তখন বিতর্কও শুরু হয়েছিল। সেই বিতর্কই ৫৫ বছর পর নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। এমনকী আইনি জটিলতায় পড়ল ছবিটির পরিবেশক সংস্থাও! বিখ্যাত প্রযোজনা সংস্থা প্যারামাউন্ট পিকচার্সের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা করা হয়েছে৷

একটি নগ্ন দৃশ্যে জোরপূর্বক অভিনয় করানোর অভিযোগে এই মামলা করেন সিনেমাটির অভিনেতা লিওনার্ড হোয়াইটিং এবং অভিনেত্রী অলিভিয়া হাসি।

ছবিটি যখন তৈরি হয়েছিল তখন লিওনার্দোর বয়স ছিল ১৬ আর অলিভিয়ার বয়স ছিল ১৫। একটি বেডরুমের দৃশ্যে লিওনার্দোর পশ্চাদভাগ ও অলিভিয়ার স্তনের কিছু অংশ দেখা গিয়েছিল। সেই নগ্ন দৃশ্য (Nudity Scene) নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল গোটা বিশ্ব। মামলায় এই তারকা জুটি অভিযোগ করেছেন পরিচালক ফ্রাঙ্কো জেফিরেলি তাদের নগ্ন দৃশ্য করতে উৎসাহিত করেছিলেন। পরে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে দৃশ্যটি কেটে দেওয়া হবে।

ছবি মুক্তির ৫৫ বছর পর সেই দৃশ্যের জন্যই ছবিটির পরিবেশক সংস্থা প্যারামাউন্ট পিকচার্স-এর (Paramount Pictures) বিরুদ্ধে আদালতে গেলেন অভিনেতা-অভিনেত্রী। দুই তারকা প্রায় ৫০০ মিলিয়ন পাউন্ড (৪১৭ মিলিয়ন ডলার) ক্ষতিপূরণ চাইছেন। তাদের দাবি যে তারা সেই মুহূর্তে যে বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন এবং সিনেমাটি মুক্তির পর থেকে যে আয় হয়েছে তার ভিত্তিতে এই ক্ষতিপূরণ দাবি করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ আদালতে লিওনার্দো-অলিভিয়া অভিযোগ করেন, ছবি মুক্তির পর থেকে এত বিতর্ক তৈরি হয়েছিল, যাতে মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁদের। এমনকী অনেক কাজও হারিয়েছেন তাঁরা। আদালতে তাঁদের পক্ষে জানানো হয়েছে, অভিনেতা-অভিনেত্রীর সম্মতি ছাড়াই সেই দৃশ্যে অভিনয় করাতে বাধ্য করা হয়েছিল। শ্যুটিংয়ের আগে তাঁরা জানতেনই না যে তাঁদের এমন কোনও দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে। কিন্তু সেটে গিয়ে সব পাল্টে যায়। তখন বলা হয়েছিল বিবস্ত্র অবস্থায় শট নেওয়া হলেও তাঁদের মুখ দেখানো হবে না। সেইসময় দুই কিশোর-কিশোরী সেই শর্ত মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু ছবি মুক্তির পর দেখেন যে কথা রাখেনি প্যারামাউন্ট পিকচার্স। কিন্তু এত বছর পর বিষয়টি নিয়ে কেন সরব হলেন তাঁরা, সেই প্রশ্ন উঠলেও তা খোলসা করেননি কেউই।

জনপ্রিয় এই ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ফ্র্যাঙ্ক জেফিরলি। ২০১৯ সালে তিনি মারা যান। তাঁর বানানো এই ছবি সোনার ফ্রেমে বাঁধানো থাকলেও বিতর্ক কাটা হয়ে থাকল আজীবন।

আনন্দবাজার/কআ

সংবাদটি শেয়ার করুন