প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়-এর দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে রূপকল্প-২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
বৈশ্বিক করোনার সংকটকালীন মুহূর্তেও ঘরে বসেই অনলাইনে নাগরিকগণ প্রায় সকল ধরনের সেবা পেয়েছেন, যা ডিজিটাল বাংলাদেশরই সুফল। দেশের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে শিক্ষা, অফিস-আদালত, ব্যাংক, সভা-সেমিনার, কনফারেন্স ইত্যাদি অনলাইনভিত্তিক করার পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কেনাকাটা ঘরে বসেই করতে পেরেছেন।
তথ্যপ্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে করোনাবিষয়ক তথ্যসেবা, টেলিমেডিসিন সেবা, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। প্রযুক্তির এই সহজলভ্যতার কারণে সকল ধরনের বিল ও আর্থিক লেনদেন ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু শহরেই নয়, বরং জেলা-উপজেলা সদর ছাড়িয়ে গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত ও দুর্গম অঞ্চলেও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। ডিজিটাল বাংলাদেশে নাগরিক সেবা সহজ করতে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার উপর ভিত্তি করে ‘আমার ডিজিটাল বাংলাদেশ: উদ্ভাবনে এটুআই’ এবং ‘কফি টেবিল বুক-দি এটুআই জার্নি’-শীর্ষক দু’টি প্রকাশনা প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এই স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার চারটি ভিত্তি নির্ধারণ করেছেন। এগুলো হলো-স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ও ইউএনডিপি এর সহায়তায় পরিচালিত ‘এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই’ তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর নাগরিক সেবা সহজিকরণে নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগে সহযোগিতা প্রদান করছে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশে স্মার্ট সিটি ও স্মার্ট ভিলেজ বিনির্মাণে সহযোগিতা করছে এটুআই। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার সেবাকে সহজ করতে স্মার্ট সেবা পরিকল্পনা তৈরিতে সহায়তা করছে। ইতোমধ্যে এটুআই-এর সহযোগিতায় সিভিল সার্ভিস ২০৪১-এর যাত্রা শুরু করেছে। এপ্রেক্ষিতে ২০২২ সাল জুড়ে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো।
সরকারী বিভিন্ন সেবা প্রদানে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং এসব সেবা গ্রহণে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার ইকোসিস্টেম তৈরিতে নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ‘গভটেক লিডারস’ তালিকায় এই স্থান করে নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত গভটেক ম্যাচুরিটি ইনডেক্স (জিটিএমআই) ২০২২ তে এই অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ই-পার্টিসিপেশনে ২০ ধাপ এগিয়ে ৭৫তম এবং জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ৮ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।
ডব্লিউএসআইএস পুরস্কার ২০২২: চূড়ান্ত পর্বে এটুআই-এর ৪টি’সহ বাংলাদেশের মোট ৯টি উদ্ভাবনী উদ্যোগ পুরস্কৃত হয়েছে। ডব্লিউসিআইটি ২০২২ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বিশ্বের ১৬৫টি প্রকল্পের মধ্যে থেকে এটুআই-এর ‘ন্যাশনাল পোর্টাল ফ্রেমওয়ার্ক’ উদ্যোগকে চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া এটুআই-এর আরো একটি প্রকল্প ‘কোভিড-১৯ ন্যাশনাল ড্যাশবোর্ড’- ইনোভেটিভ ই-হেলথ সল্যিউশনস অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে ১ম স্থান অর্জন করে।
দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের উত্তম চর্চাসমূহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যে রেপ্লিকেট করা শুরু হয়েছে। ই-কমার্স ভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম- একশপ তুরস্ক, ইয়েমেন ও সাউথ সুদানে; দক্ষতা ও চাকুরী সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্ম- এনআইএসই জর্ডান ও সুমালিয়ায়; সরকারি সেবাসমূহের একত্রিকরণ প্ল্যাটফর্ম- মাইগভ ফিলিপাইনে রেপ্লিকেট করা হচ্ছে।
বিচারিক ব্যবস্থাকে সহজ করতে চালু হয়েছে অনলাইন কজলিস্ট, জুডিসিয়াল মনিটরিং ড্যাশবোর্ড এবং আমার আদালত (মাইকোর্ট) অ্যাপ। এছাড়া সিএমএসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল সেন্টারভিত্তিক ওয়ানস্টপ সেবা কেন্দ্র এবং প্রকল্পের কাজে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে পিপিএস এবং আরএমএস সফটওয়্যার চালু করা হয়।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের পণ্য সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ‘একশপ গ্লোবাল’ এর যাত্রা শুরু। দেশব্যাপী কোরবানির পশু কেনাবেচায় ২য় বছরের মতো সকল খামারি ও হাটকে যুক্ত করে ডিজিটাল হাট চালু করা হয়। ই-কমার্স খাতকে বিশ্বস্ত করতে চালু করা হয় ইউবিআইডি’র নিবন্ধন এবং কেন্দ্রীয় অভিযোগ নিষ্পত্তি সিস্টেম।
গ্রামীণ অর্থনৈতিক হাব হিসেবে প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাওয়া ডিজিটাল সেন্টারের ১ যুগ পূর্তি হয় এবছর। বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রবাস যাত্রা সহজ করতে এবং প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতিমূলক কাগজপত্র ও সেবাসমূহ একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট থেকে প্রদানের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে প্রবাসী হেল্প ডেস্ক চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এটুআই চালু করেছে ‘সাথী’ নামক একটি নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহযোগিতায় এটুআই প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তা নিয়ে এই নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু করেছে। দেশের সকল পরিষেবা বিল, শিক্ষা সংক্রান্ত ফি ও অন্যান্য সকল ধরনের সরকারি সেবার ফি/বিল প্রদানের পদ্ধতি সহজ ও সমন্বিতকরণে চালু হওয়া সমন্বিত পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ‘একপে’তে বিভিন্ন ধরনের করতে নতুন ৮টি আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নতুন পেমেন্ট চ্যানেল যুক্তকরণ।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বই পড়ার অধিকার নিশ্চিতে মারাকেশ চুক্তিতে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। জাতীয় তথ্য বাতায়নের অধীন সকল ওয়েবসাইটকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ‘গ্লোবাল অ্যাকসেসিবিলিটি অ্যাওয়ার্নেস ডে’ উদযাপন। ২০২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) এটুআই-কর্তৃক উদ্ভাবিত মাল্টিমিডিয়া টকিং বই প্রণয়ন ও এর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধীনস্ত দপ্তর/সংস্থার প্রায় ৩৯টি উদ্যোগ চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সাথে সম্পর্কিত অগ্রসরমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজাইন করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হয়েছে। বাংলাদেশে প্রথম চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে ৪০টি কারিকুলাম প্রণয়নে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। দক্ষতা উন্নয়নের সাথে যুক্ত ২১টি বিভাগ/অধিদপ্তর কর্তৃক চতুর্থ-শিল্প বিপ্লব উপযোগী পেশায় দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স ফর স্কিলস, এডুকেশন, এপ্লইমেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রনারশীপ (এনআইএসই) প্ল্যাটফর্মে প্রায় ৬,৫০,০০০ জন যুব ও ৩৮৬টি দক্ষতা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভূক্তির পাশাপাশি প্রায় ১৮০০০ সরকারি/বেসরকারি কর্মকর্তাদের অবহিতকরণ করা হয়েছে। দেশব্যাপী চাকুরি মেলা আয়োজন, এনআইএসই প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে এবং অন্যান্য পার্টনারের সাথে যৌথ কর্মসূচির মাধ্যমে ২ লক্ষাধিক চাকুরির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। দেশের বেকার যুবদের কর্মসংস্থান বিষয়ে সঠিক পরামর্শ, নির্দেশনা ও মার্কেট লিংকেজ করার জন্য পাবলিক এবং প্রাইভেট ৫০টি ক্যারিয়ার গাইডেন্স সেন্টার একত্রিত করে ন্যাশনাল ক্যারিয়ার গাইডেন্স নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ বিষয়ে ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম মুক্তপাঠ ব্যবহার করে মাধ্যমিক স্তরের ৩ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে অনলাইনে অরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ১৩টি বিষয়ের উপরে ৩ লক্ষ ৫০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে বিষয়ভিত্তিক অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এবিষয়ে মাধ্যমিক উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডকে কারিগরি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে প্রায় ২ লক্ষ ৫৫ হাজার শিক্ষককে মুক্তপাঠ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ‘মানসিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক ফার্স্টএইড’ অনলাইন প্রশিক্ষণ প্রদানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং ইউনিসেফ-কে কারিগরি সহায়তা প্রদান। রূপকল্প ২০৪১ – স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে একটি সময়োপযোগী, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্মার্ট শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ‘জাতীয় ব্লেন্ডেড শিক্ষা ও দক্ষতা বিষয়ক মহাপরিকল্পনা’-এর খসড়া প্রণয়নে ব্লেন্ডেড শিক্ষা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্স-কে কারিগরি সহায়তা প্রদান।
ভূমি বিষয়ক জরুরি সেবা প্রদানে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ এবং ১৬১২২ একত্রে কাজ শুরু করেছে। ৩৩৩-২ নম্বরে ফোন করে ঘরে বসেই ডাকযোগে খতিয়ান (পর্চা) ও জমির ম্যাপ প্রাপ্তি, যেকোনো স্থান থেকে খতিয়ান ও নামজারি ফি এবং ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, নামজারি আবেদন করা, ভূমি আইন ও বিধিবিধান সংক্রান্ত তথ্য এবং বিবিধ অভিযোগ ইত্যাদি সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিবেচনায় ইলেকট্রিক যানবাহন ও পরিবেশবান্ধব শিল্প উন্নয়নে এটুআই-এর আইল্যাব কারিগরি জ্ঞান বৃদ্ধি ও মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের (অটোমোবাইল সমিতি, স্থানীয় অটোমোবাইল শিল্প এবং প্রবাসী দক্ষ প্রকৌশলী) সহায়তায় দেশীয়ভাবে ইলেকট্রিক যানবাহনের সিকেডি ও উৎপাদনে কার্যক্রম করছে। অটোমোবাইল শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা-২০২১, বৈদ্যুতিক যান চার্জিং নির্দেশিকা, সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এবং ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২২-এর সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র ইলেকট্রিক ভেহিকেলের নীতিমালা প্রস্তুত করতে কারিগরি সহায়তা প্রদান। পরিবেশবান্ধব ব্যাটারী উৎপাদনে একটি রিসার্চ সেন্টার তৈরিতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান। এটুআই-এর ল্যাব সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে তিন চাকার ইলেকট্রিক ভেহিকেল (যা বর্তমানে ইজি বাইক নামে পরিচিত) তার একটি মানসম্মত নকশা তৈরি করছে। বৈদ্যুতিক মটরযান উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর রেয়াতে বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বরাবর সুপারিশ ও নীতিমালা প্রণয়নে প্রয়োজনীয় কারিগরি সহযোগিতা প্রদান।
হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম, ইউনাইটেড নেশনস জেনারেল অ্যাসেম্বলী, গ্লোবাল সাউথ সাউথ ডেভেলপমেন্ট এক্সপোসহ বিশ্বের বিভিন্ন পলিসি ফোরামে বাংলাদেশের অর্জনগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এর মাধ্যমে দক্ষিণ আঞ্চলীয় ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো একই ধরনের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় প্রসারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রায় ৬১টি উত্তম চর্চা নিয়ে ৩টি ভলিয়ম প্রকাশনা তৈরি হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের প্রায় ১০টির অধিক উত্তম চর্চা উঠে এসেছে। এছাড়া ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর সাউথ সাউথ কো-অপারেশন দ্বারা সংকলিত ‘গুড প্র্যাকটিসেস ইন সাউথ সাউথ অ্যান্ড ট্রাইঅ্যাংগুলার কোঅপারেশন প্রকাশনায় বাংলাদেশের ২১টি উত্তম চর্চা প্রকাশিত হয়েছে। ডিজিটাল পাবলিক গুডস হিসেবে বাংলাদেশের ২টি উত্তম চর্চা (ই-কমার্সভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম- একশপ এবং দক্ষতা ও চাকুরি সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্ম- এনআইএসই) মনোনয়ন প্রাপ্ত হয়েছে।
শিক্ষা-তথ্য-বিনোদন ভিত্তিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি, সরকারি নথি কার্যক্রম সহজ, গর্ভাবস্থা পর্যবেক্ষণ, আর্থিক খাতে নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অন্তর্ভুক্তিকরণ, ট্রেসেবিলিটি ও রকেট্রি এবং পার্বত্য অঞ্চলের নারীদের জীবনমান উন্নয়নে ভিন্ন ভিন্ন আইডিয়ার খোঁজে চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
আনন্দবাজার/কআ