ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টিসিবির পচা পেঁয়াজ নিয়ে বিপাকে বরিশালের ডিলাররা

বরিশালে সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও মজুদ না করায় গুদামেই নষ্ট হয়ে গেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর ২০ টন পেঁয়াজ। এসব পচা পেঁয়াজ নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছেন টিসিবির ডিলাররা। বাধ্য হয়ে এসব পেঁয়াজ ফেলে দিচ্ছেন তার, ফলে গুনতে হচ্ছে লোকসান।

মাসব্যাপি দর বৃদ্ধির কারণে গত ২০ নভেম্বর থেকে বরিশালে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করে টিসিবি। যেখানে দুই ধাপে মোট ৬০০ টন পেঁয়াজ বিক্রি করে তারা। প্রতি ডিলারকে প্রথমে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ দেয়া হয়ে ছিল বিক্রির জন্য। এরপর তা বৃদ্ধি করে ৩ হাজার কেজি করা হয়। প্রথমে  টিসিবির এসব পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৪৫ টাকায় বিক্রি করতো ডিলাররা।

পরবর্তীতে তা ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়ে ছিল। বর্তমানে এখন ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বর্তমানে বিক্রির জন্য যেসব পেঁয়াজ ডিলাররা উত্তোলন করেছেন তার সিংহভাগই পচা। আর এজন্যই ৩৫ টাকা কেজি দরেও তা বিক্রি করা যাচ্ছে না।

এরই মধ্যে আবার গতকাল নতুন করে বাজারে পেঁয়াজের দর বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ অবস্থায় পেঁয়াজের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বিক্রি করতে পারবেন না বলে আশঙ্কা করছেন ডিলাররা।

বরিশালের টিসিবির ডিলার মো. শাহিন জানান, পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে গিয়ে আমরা ক্রেতা কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়েছি। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার এসব পচা পেঁয়াজ বিক্রি করতে না পেরে বাধ্য হয়ে ফেলে দিয়েছি। এর জন্য আমাদের বিপুল টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে। তবে এর কোনো দায় নিতে চাচ্ছে না টিসিবি কর্তৃপক্ষ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডিলার জানিয়েছেন, বরিশালে টিসিবির গোডাউনে মজুদ থাকা ২০ টন পেঁয়াজের সবই পচা। এই পেঁয়াজ আমাদের ধরিয়ে দিয়ে বিপাকে ফেলেছেন তারা। এসব পেঁয়াজ ফেলে দেয়া ছাড়া আর কোন উপায়ই নেই আমাদের কাছে।

টিসিবির বরিশাল কার্যালয়ের প্রধান আনিচুর রহমান জানিয়েছেন, প্রথমে প্রতি ডিলারকে ১ হাজার কেজি করে পেঁয়াজ দেয়া হয়ে ছিল। এরপর প্রতিদিন তাদের ৩ হাজার কেজি পর্যন্ত পেঁয়াজ দেয়া হয়ে ছিল। আগে প্রতি কেজিতে ডিলাররা পরিচালন ব্যয় বাবদ ৪ টাকা দেওয়া হতো, এখন তা ৫ টাকা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আগের ৬০০ টনের পেঁয়াজের মধ্যে মাত্র ২০ টন গুদামে মজুদ ছিল। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য হওয়ায় তাই এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন