সিকিউরিটিজ হাউজের গ্রাহকদের জমাকৃত চেক নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার কেনা যাবে না সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) চিঠি দিয়েছে বিনিয়োগকারীরা।
মঙ্গলবার বিনিয়োগকারীদের পক্ষে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বরাবর এক চিঠি দিয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাজী আব্দুর রাজ্জাকের স্বাক্ষরিত ওেই চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভিন্ন সিদ্ধন্ত গ্রহণের ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীরা কিছুটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল। কিন্তু বৈশিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা বর্তমানে বহাল রয়েছে। বাজারে আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমাদের দাবির মূখে বিএসইসি ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা চরম ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
আস্থা ফিরলেও সম্প্রতি বিএসইসির নির্দেশক্রমে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের দেওয়া চেক নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার ক্রয় করা যাবে না বলে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে। নির্দেশনার পর থেকে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে এবং বাজারে ধারাবাহিক পতন হওয়ায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরই প্রেক্ষাপটে চিঠিতে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে একটি স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গড়ার লক্ষে উক্ত নির্দেশনা প্রত্যাহার করার অনুরোধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর কার্যকারিতা স্থগিত থাকা ২০১০ সালের একটি প্রজ্ঞাপনের আলোকে ডিএসইর পক্ষ থেকে ব্রোকার হাউজগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়, তারা যেন গ্রাহকের জমাকৃত চেক নগদায়ন না হওয়া পর্যন্ত ওই টাকার বিপরীতে কোনো শেয়ার কিনতে না দেওয়া হয়।
ওই নির্দেশনার পর পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে গত সোমবার এ ইস্যুকে কেন্দ্র পুঁজিবাজার অস্থির হয়ে উঠে। পতনও হয়। এর প্রেক্ষিতে চেকের ইস্যুটি নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে। এর আগে গত সোমবার ঢাকা ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশন ও সিইও ফোরামের পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে বিএসইসি ও ডিএসইকে চিঠি দেয়া হয়।
আনন্দবাজার/কআ