শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ক্ষুধার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

ক্ষুধার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধি

  • জলবায়ু পরিবর্তনে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে

বিশ্বব্যাপী মহামন্দা আর দুর্ভিক্ষের দুঃসংবাদ দিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ। বিশ্বনেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিসহ দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বানও জানাচ্ছে। বিশ্বনেতারাও জনগণকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন সম্ভাব্য খাদ্য সংকটের কথা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়েও পড়েছে।

তবে মহামন্দা ঘনিয়ে আসার আগেই প্রথমবারের মতো মুদ্রাস্ফীতি ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরোধিতায় লাখ লাখ মানুষ বিক্ষোভ করেছেন ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের লাগাম ছাড়া মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সেই বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে অবশ্য বামপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রান্স আনবোড পার্টির প্রধান জিন লুক মেলন। সেই সঙ্গে মূল্যস্ফীতির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নাগরিক সমাজও। হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটির জ্বালানি তেলের শোধনাগারে ধর্মঘট চলছে। এতে পুরো ফ্রান্সেই তেলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে সেখানে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় অসহনীয়ভাবে বেড়ে গেছে।

বিক্ষোভে অংশ নিয়ে চলমান উচ্চমূল্যের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নাগরিকরা। এতে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকারের ওপর চাপ বাড়ছে। আয়োজকরা জানিয়েছে, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও জলবায়ু মোকাবিলায় পদক্ষেপ না নেওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই বিক্ষোভ থেকে জলবায়ু ও উচ্চ মূল্যের মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্ববান জানানো হয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেককেই হলুদ রঙের জ্যাকেট পরতে দেখা গেছে, যা ২০১৮ সালের হিংসাত্মক সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্রতীক। মনে করা হচ্ছে, ম্যাক্রোঁ বিরোধীরা বর্তমান পরিস্থিতি ব্যবহার করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন। মূলত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তেল শোধনাগারে ধর্মঘট শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ  বড় উত্থানের পর পুঁজিবাজারে দরপতন

আয়োজকদের দাবি, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনে সরকারি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে গত রবিবারের পদযাত্রায় এক লাখ ৪০ হাজার লোক অংশ নেন। তবে পুলিশ ধারণা করছিল, এদিনের আন্দোলনে প্রায় ৩০ হাজার লোকের সমাগম হতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পথে পথে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন