শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন বলেছেন, সার আমদানি নির্ভরতা কমাতে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। প্রকল্পটির কাজ প্রায় ৮০% সমাপ্ত হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দেশের অভ্যন্তরীন ইউরিয়া সারের চাহিদা মিটাতে এবং সুলভমূল্যে কৃষকদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করতেও এটি ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বার্ষিক ৯.২৪ লাখ মেট্রিক টন সার উৎপাদনের লক্ষে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশালের পলাশ ইউরিয়া সার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে সার কারখানাটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করতে পারবেন বলে আশা করি।
আজ নরসিংদীর পলাশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, স্থানীয় এমপি ডা: আনোয়ারুল আশরাফ খান, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, বিসিআইসি’র চেয়ারম্যান শাহ্ মো: ইমদাদুল হক, প্রকল্প পরিচালক রাজিউর রহমান মল্লিক, দাতা সংস্থার প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে দেশের মানুষ সার, বিদ্যুৎ, খাদ্যের দাবিতে রাস্তায় নামলে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আর এখন শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করা হয়েছে। কৃষিতে সার, সেচসহ চাষের উপকরণ কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ায় দেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বৈশ্বিক মহামারি করোনার মধ্যে দেশের মানুষের খাওয়া পরার কোন অভাব হয়নি। তার ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা, অর্থ ও খাদ্য সহায়তার ফলে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। জনগণের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে মুনাফাখোর ও কালোবাজারীরা যাতে সার কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে মাঠ প্রশাসনকে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আনন্দবাজার/শহক