আমন মৌসুমের নতুন ধান বাজারে আসায় কিছুটা স্বস্তি এসেছে চালের দামে। রাজধানীর বাজারগুলোতে আমন মৌসুমের নতুন ধান আসার পর পাইকারিতে মোটা চালের দাম অনেকাংশে কমেছে। তবে খুচরা দোকানগুলোতে এর প্রভাব পড়েনি বললেই চলে।
খুচরা বিক্রেতারা জানান, নতুন মৌসুমের চাল বাজারে আসলেও তাদের দোকানে এখনও পৌঁছায়নি। তাই খুচরা দোকানগুলোতে মোটা চালের দাম কিছুটা বাড়তি রয়েছে।
এদিকে পাইকারি বিক্রেতারা জানান, নতুন আমন ধান বাজারে আসার পর চালের দাম কমতে শুরু করেছে। গত দুই সপ্তাহ ধরেই বিভিন্ন রকম মোটা চালের দাম কমেছে।
মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের এমডি রাইস এজেন্সির ফয়সাল আহমেদ জানান, গত কয়েক বছরের মধ্যে এবারই মোটা চালের দাম রেকর্ড পরিমাণে কমেছে। “আমন মৌসুমের ধান আসার পর গুটি ও স্বর্ণা চালের দাম বস্তায় অন্তত একশ টাকা করে কমেছে। গুটি চালের বস্তা ১৩০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ১৪০০ টাকা ছিল। স্বর্ণা চাল প্রতি বস্তা ১৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ১৫০০ টাকা ছিল।”
তিনি জানান, গত নভেম্বরের শুরুতে মিনিকেট চালের দাম বেড়ে গিয়েছিল কেজিতে অন্তত ছয় টাকা করে। সেই দাম আর কমেনি। আগের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মিনিকেটসহ অন্যান্য সরু চাল।
আরও পড়ুন: উৎপাদন মৌসুমে ঊর্ধ্বমুখী গমের দাম
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির হিসাবে, গত দুই সপ্তাহ ধরে খুচরায় মোটা চালের কেজি (গুটি ও স্বর্ণা) ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগের তুলনায় ১২ শতাংশ এবং এক বছর আগের তুলনায় ১৮ শতাংশ কম।
কৃষি মার্কেটের মাস্টার এন্টারপ্রাইজের চাল বিক্রেতা কামরুল হাসান ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে বিআর ২৮ চাল প্রতি কেজি ৩৫ টাকা থেকে ৩৮ টাকা এবং মিনিকেট ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩২ টাকায়।
“পাইকারিতে মোটা চালের দাম বেশ খানিকটা কমেছে। কিন্তু আমাদের কাছেে এখনও আগের কেনা চাল রয়ে গেছে। দাম কমার পর নতুন কোন চালান এখনও আসেনি।”
আনন্দবাজার/ইউএসএস