- লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৭৬৯ কোটি
- দুই স্টকের সূচক উত্থান
- লেনদেন সেরা বেক্সিমকো
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গতকাল মঙ্গলবার সব ধরনের সূচক উত্থান হয়েছে। দুই স্টকে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। ডিএসইর লেনদেন ছাড়িয়েছে সাড়ে ১৭’শ কোটি টাকা।
সরকারের নতুন সময় সূচির প্রথম কার্যদিবস গত ২৪ আগস্ট পতন হয়েছিল। যা আগের টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর এই মন্দা। পতন পরের গত দুই কার্যদিবস (বৃহস্পতিবার ও রবিবার) ধরে উত্থানে রয়েছিল পুঁজিবাজার। এসময় লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। পরের দিন গত সোমবার লেনদেনে কিছুটা ভাটা পড়ে। সেই অবস্থান থেকে গতকাল লেনদেন কিছুটা বাড়ে।
স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই পুঁজিবাজারে বড় উত্থান হয়েছিল। ওইদিন রবিবারের মতো পরেরদিন পুঁজিবাজার উত্থান ছিল। এরপরের তিন কার্যদিবস (মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার) উত্থান ধারা অব্যাহত ছিল। উত্থান কারণে স্বস্তিতে ছিলো বিনিয়োগকারীরা। সেই স্বস্তি পরের চার কার্যদিবসের মন্দায় পুঁজিবাজারের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। টানা পতনে ক্রেতার সংখ্যা বহুগুণে হারায়। এরপর গত ছয় কার্যদিবস উত্থানে ফিরে আসলো। উত্থানের পর গত বুধবার পতনে ফিরেছিল পুঁজিবাজার। ওই পতন পরের চার কার্যদিবস উত্থানে পুঁজিবাজার।
আরও জানা যায়, মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৭৬৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৪৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৮৪টি এবং কমেছে ১২৩টির। শেয়ার পরিবর্তন হয়নি ৭৩টির।
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৪ দশমিক ৮৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৩২ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৩ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৭৯ দশমিক ৩২ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ৩৯৬ দশমিক ২৮ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। ওরিয়ন ফার্মা ৯২ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা এদিন অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ওরিয়ন ফার্মা ৭৭ লাখ ৮৮ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিং ৫৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৫৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, ইস্টার্ন ৪৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, লার্ফাজ-হোল্ডসিম ৪২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, বিবিএস ৩৬ কোটি ১০ লাখ টাকা, আলিফ ম্যানুফ্যাকচারিং ২৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২৯ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং ফরচুন সুজ ২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপরদিকে, সিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস গত সোমবার ৪২ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩০৪টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৪৮টি, কমেছে ৯৩টি এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৩টির।
এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৬৯ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৮৯৮ দশমিক ২৪ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক দশমিক ৮৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৩৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৪১ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ৪ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৫ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৬১৫ দশমিক শূন্য ৩ পয়েন্টে, ১১ হাজার ৩২৬ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ২০৩ দশমিক ৪২ পয়েন্টে।
আনন্দবাজার/শহক