লেনদেন
- ডিএসইতে ৭শ কোটি, সিএসইতে ৬১
- শীর্ষ ডিএসইতে বেক্সিমকো
- সিএসইতে ফরচুন সুজ
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল সোমবার লেনদেন ৭শ কোটি টাকার ঘরে অবস্থান করেছে। অপরদিক চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন ৬১ কোটি ঘরে চলে এসেছে। দুই স্টকের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। তবে উভয় স্টকে সূচক উত্থান হয়েছে।
ডিএসইতে ব্যাংক, বস্ত্র, খাদ্য আনুষঙ্গিক, জ্বালানি শক্তি, বিবিধ, ওষুধ রসায়ন, আইটি এবং পাট খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। অপরদিকে বিমা, সিমেন্ট, সিরামিক এবং পেপার খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ইঞ্জিনিয়ারিং, ফান্ড, নন ব্যাংকিং আর্থিক, সেবা আবাসন, চামড়া, টেলিকম এবং ভ্রমন অবসর খাতের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়া-কমার ছন্দ ছিল। শেয়ার দর বাড়া-কমার একই চিত্র ছিল পুঁজিবাজার সিএসইতে।
পুঁজিবাজারে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। এর মধ্যে ডিএসইর ৬২ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং সিএসইর ৪৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। অপরদিকে ডিএসইর ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং সিএসইর ৩৫ দশমিক ৫২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এই ধরনের বৃদ্ধি-হ্রাস স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
ডিএসইতে গতকাল সোমবার লেনদেন হয়েছে ৭০০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৫৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৩৭টির, কমেছে ৯১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৪টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৯ দশমিক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩২০ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ১ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮০ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ১ দমমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৮৫ দশমিক ২১ পয়েন্টে।
ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন বেক্সিমকো ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর ২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা, আলিফ ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, সোনালি পেপার ১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মা ১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুড ১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ১০ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে এদিন (সোমবার) লেনদেন হয়েছে ৬১ কোটি ২০ লাখ টাকা। গত রবিবার লেনদেন হয়েছিল ২১ কোটি ১৬ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৯০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১০৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৩টির। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৩ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬১৬ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে।
এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ২ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ১০ দশমিক ১৩ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ২৬ দশমিক ২৩ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ২ দশমিক ২৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৭ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৯২ দশমিক ৮২ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৫৯ দশমিক ৩১ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৮ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে।
সিএসইতে ফরচুন সুজের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। এদিন ফরচুন সুজ ৪১ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর ৮২ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ৭১ লাখ টাকা, ফনিক্স ফাইন্যান্স ৭০ লাখ টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্স ৭০ লাখ টাকা, এমটিবি ৬১ লাখ টাকা, ইবনে সিনা ৫৭ লাখ টাকা, গ্রামীনফোন ৫৬ লাখ টাকা, ইবিএল এনআরবি ফান্ড ৫২ লাখ টাকা এবং ফু-ওয়াং সিরামিক ৫০ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
আনন্দবাজার/শহক