ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজের সঙ্গে কমছে সবজির দাম

রাজধানীসহ সারা দেশে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ ও শীতকালীন সবজির দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে দেশি-বিদেশি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি সবজিতে কমেছে অনন্ত ৫ থেকে ১০ টাকা করে।

বাজরে নতুন পেঁয়াজের সঙ্গে রফতানির পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় কমছে দাম। অন্যদিকে শীতকালীন সবজিও বাজারে ওঠায় সবজির দাম কমছে। এছাড়াও কিছুটা দাম কমেছে মোটা চাল, আটা ও ডালের।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে দিয়ে দেখা গেছে, ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় দেশি ভালো মানের নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাতাসহ পেঁয়াজ কেজিতে ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মইনুল খান বলেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় এবং রফতানির পেঁয়াজের সরবরাহ থাকায় পেঁয়াজের দাম কমছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস মাঝারি আকারের ফুলকপি ২৫-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে নিম্নমানের যে শিম ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে বৃহস্পতিবার সেই দামে ভালোমানের শিম পাওয়া যাচ্ছে। ৬০ টাকা দরের গাজর বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।

গত সপ্তাহে ৫০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচা টমেটো ৫০-৬০ টাকা আর পাকা টমেটো ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৯০-১০০ টাকা কেজিতে। ৭০ টাকার বরবটি  বিক্রি হচ্ছে  ৩০টাকায়, করলা ৬০, শসা ৪০-৫০, মুলা ২৫-৩০, পটল ৫০, লাউ ৪০, পেঁপে ২০, নতুন আলু ৩০ ও পুরাতন আলু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও শালগম ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস বড় লাউ ৩৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আঁটি প্রতি লাল শাক পাঁচ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ১০-১৫ টাকা ও পুঁই শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার

গত সপ্তাহের চেয়ে ২ টাকা কমে মোটা আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫০ টাকা, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে। পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজিতে। মসুর ডাল ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন