ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লেনদেন কমলেও ঊর্ধ্বমুখী সূচক

পুঁজিবাজার
  • সাতশ কোটির ঘরের কাছাকাছি
  • সিমেন্টে শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধি
  • সিএসইতে কমেছে শেয়ার ও ইউনিট দর

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল বুধবার লেনদেন কমে ৭শ কোটি টাকার ঘরের কাছাকাছিতে অবস্থান করে। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমে ৩৮ কোটি ঘরে চলে এসেছে। ডিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। কমেছে সিএসইতে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর। উভয় স্টকে প্রধান সূচক উত্থান হয়।

ডিএসইতে সিমেন্ট খাতের শতভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। বিমা, বস্ত্র, ওষুধ রসায়ন, বিবিধ এবং পাটখাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। অপরদিক সিরামিক, খাদ্য আনুষঙ্গিক, জ্বালানি শক্তি এবং আইটি খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। ব্যাংক, নন ব্যাংকিং আর্থিক, ফান্ড, সেবা আবাসন, চামড়া, টেলিকম এবং ভ্রমন অবসর খাতের কোম্পানির শেয়ার দর বাড়া-কমার ছন্দ ছিল। শেয়ার দর বাড়া-কমার একই চিত্র ছিল পুঁজিবাজার সিএসইতে।

ডিএসইর ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং সিএসইর ৩২ দশমিক ২৬ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর উত্থান হয়। অপরদিকে, ডিএসইর ৩২ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং সিএসইর ৪২ দশমিক ৬০ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর পতন হয়। কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর এই ধরনের বৃদ্ধি-হ্রাস স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন বিনিয়োগকারীরা বলে জানায় পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

ডিএসইতে গতকাল বুধবার লেনদেন হয়েছে ৬৯৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার। গত বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৭২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮২টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৯৩টির, কমেছে ১২৩টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৬৬টির। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ দশমিক ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩১৭ দশমিক ৮০ পয়েন্টে। ডিএসইএস সূচক ২ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮১ দশমিক ৪৭ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ২ দমমিক ৫৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৯৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে।

ডিএসইতে বেক্সিমকোর শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। বেক্সিমকো ৪৪ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে শাইনপুকুর ২৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ১৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা, আলিফ ১৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, সোনালি পেপার ১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মা ১৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, আইপিডিসি ফাইন্যান্স ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকা, ফু-ওয়াং ফুড ১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন ১০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষে ওঠেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এদিন শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে মেঘনা ইন্স্যুরেন্স ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ, সোনালি পেপার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ, আলিফ ৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ, ফাইন ফুডস ৫ দশমিক ২৭ শতাংশ, ইনটেক ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ, মিরাকেল ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, আইসিবি অগ্রনী ১ম ৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ, সাফকো স্পিনিং ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং সোনারগাঁও ৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ করে শেয়ার দর বেড়েছে।

ডিএসইতে দর কমার শীর্ষে ওঠেছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে কেডিএস ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আরডি ফুড ১ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ১ দশমিক ৯৫ লাখ টাকা, জিএসপি ফাইন্যান্স ১ দশমিক ৯৪ লাখ টাকা, প্রগেসিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স ১ দশমিক ৯৩ টাকা, এইচ আর টেক্সটাইল ১ দশমিক ৯১ লাখ টাকা, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্স ১ দমমিক ৮৯ শতাংশ করে শেয়ার দর কমেছে।

সিএসইতে (বুধবার) লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ২৭ লাখ টাকা। গত মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছিল ৫৬ কোটি ২৭ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৭টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১১২টির, কমেছে ১১৮টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৭টির। সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১ দশমিক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬০২ দশমিক ২৪ পয়েন্টে।

এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ২৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬ দশমিক ১৫ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক ১ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩৬৮ দশমিক ২৯ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ৪৮১ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, ১১ হাজার ১৫২ দশমিক ১৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ১৭৪ দশমিক ৫২ পয়েন্টে।

সিএসইতে প্রিমিয়ার ব্যাংক শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। ফলে লেনদেন শীর্ষে কোম্পানিটির শেয়ার স্থান পায়। প্রিমিয়ার ব্যাংক ১১ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে উত্তরা ব্যাংক ১১ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ৯৩ লাখ টাকা, ওরিয়ন ফার্মা ৭৯ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক ৫৯ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ৫৮ লাখ টাকা, সাইফ পাওয়ারটেক ৫৩ লাখ টাকা, জেএমআই হসপিটাল ৪৯ লাখ টাকা, রবি ৪৭ লাখ টাকা এবং রিং শাইন ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন