ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্ষায় চুলের যত্ন

পরিবেশের বিরূপ প্রভাব আমাদের ত্বক এবং চুলে পড়ে। তাই পরিবেশ বদলের সাথে সাথে চুলেরও যত্ন নেওয়া চাই। যত আগে থেকে যত্ন নেওয়া যায় ততটাই ভালো ফল পাওয়া যাবে। আবহাওয়া অনুযায়ী চুলের যত্নের জন্য দৈনন্দিন একটি রুটিন করে নিন। রুটিন অনুযায়ী যত্ন নিলে ধাপে ধাপে চুলের উন্নতি হয়। চুল মজবুত এবং টেকসই হয়।

রোদ-বৃষ্টিকে প্রতিরোধ

রোদ ও বৃষ্টিকে ভয় না করে জয় করতে হবে। বাইরে রোদ থাকলে বের হবার আগে চুলে ইউভিএফ-সমৃদ্ধ সান প্রটেক্টর ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। ত্রিশ অথবা তারও অধিক ইউভিএফ ক্ষমতাসম্পন্ন সান প্রটেক্টর ক্রিম চুলের সুরক্ষায় বেশি কাজ করে। তবে রোদে গেলে চুল ঢেকে রাখাই ভালো। এতে রোদ এবং ধুলা-ময়লা থেকে দূরে থাকা যায়। এছাড়া রোদ ও বৃষ্টিতে ছাতা ব্যবহার, ক্যাপ, ওড়না বা স্কার্ফ ব্যবহার করলেও চুল ভালো থাকবে।

বৃষ্টির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা

বৃষ্টির পানিতে এক ধরনের এসিড থাকে। এছাড়া বৃষ্টি শুরুর প্রথম দিকের পানিতে বাতাসের ধুলা-ময়লা মিশে থাকে। এমন পানিতে চুল ভিজলে মাথার ত্বক এবং চুলের ক্ষতি হয়। মাথার ত্বকে স্যাঁতসেঁতে ভাব হয়। এ থেকে জন্ম নিতে পারে ক্ষতিকর ছত্রাক। এছাড়া পরবর্তী সময়ে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। চুল পড়তে শুরু করে। খুশকির সংক্রমণ হয়।

মাথার ত্বক ও চুলের যত্ন

এই সময় বৃষ্টিতে ভিজে এবং রোদে ঘেমে মাথার ত্বকে ময়লা জন্মায় বেশি। এছাড়া বাতাসের ধুলা-ময়লার সংস্পর্শে চুল ও মাথার ত্বক আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য নিয়মিত চুল ও মাথার ত্বক পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন বাইরে বেরোনোর আগে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন। এক দিন পর পর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এ সময় নিম ও অ্যালোভেরার মতো প্রাকৃতিক উপাদানসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে। মাথার ত্বক ও চুল পরিষ্কারের পাশাপাশি মাসে দুবার ম্যাসাজ করাও ভালো। এতে মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, ফলিকলস বা চুলের গোড়া শক্ত হয়।

ডিম ও লেবুর প্যাক

১টি ডিমের সাদা অংশ, ২ টেবিল চামচ জলপাই তেল, ১ কাপ কাঁচা দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে শ্যাম্পু করুন। বৃষ্টিভেজা চুলের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে এই প্যাক।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন