ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলুবীজের ৯০ শতাংশ এখন দেশেই উৎপাদন হচ্ছে

দেশে আলু উৎপাদন এক কোটি টন ছাড়িয়েছে। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে ।দেশে গত কয়েক বছর ধরেই ৪ লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আলুর আবাদ হচ্ছে। আর এই আলু আবাদ করতে প্রায় আট লাখ টন বীজের প্রয়োজন হয় । বর্তমানে বীজের চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশই এখন নিজ দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। জাত উদ্ভাবন সহজ করতে আলুকে অনিয়ন্ত্রিত ফসল হিসেবে ঘোষণা করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, গত অর্থবছরে প্রায় ৪ লাখ ৬৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছিল। এই পরিমাণ জমিতে আলু আবাদ করতে বীজের প্রয়োজন হয় প্রায় ৭ লাখ ৭৫ হাজার টন। পূর্বে বীজের চাহিদার প্রায় শতভাগ ছিল আমদানিনির্ভর । বর্তমানে চাহিদার প্রায় ৯০ শতাংশ  দেশে উৎপাদিত হচ্ছে । বীজের চাহিদার জোগান দিচ্ছে দেশের কৃষক, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সরকারিভাবে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)। কৃষক পর্যায়ে বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়া সহজ করার কারণে দেশের কৃষকরাই এখন মূল উৎপাদক। আর টিস্যু কালচারের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন করে কৃষকরাই তাদের চাহিদা মেটাতে পারছেন।

এ বিষয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আনোয়ার ফারুক জানান, দেশে যে কয়েকটি ফসল স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি বাড়তি উৎপাদন হচ্ছে, তার মধ্যে আলু অন্যতম। সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কৃষকের পরিশ্রমের কারণেই এ সফলতা এসেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াজাত শিল্পে এবং আলুর বিকল্প ব্যবহার ও রফতানি বাড়ানোর বিষয়ে পদক্ষেপ এখনো সীমিত। রফতানি বাজার বহুমুখীকরণে চুক্তিভিত্তিক উৎপাদনে জোর দিতে হবে। আলুর নতুন জাত উদ্ভাবনে জলীয় পদার্থের পরিমাণ কম থাকা এবং প্রক্রিয়াজাত শিল্প ও রফতানি উপযোগী জাত উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সাথে হিমাগারের ধারণক্ষমতাও বাড়াতে হবে। কয়েক বছরে দেশে আলু প্রক্রিয়াজাত শিল্প গড়ে উঠলেও এখনও তা সঠিকভাবে বিকশিত হয়নি।

আনন্দবাজার/এফআইবি

সংবাদটি শেয়ার করুন