শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এ যেন জাতীয় নির্বাচন!

দৈনিক আনন্দবাজার
এ যেন জাতীয় নির্বাচন!

সুন্দর জাতি গঠন, সুষ্ঠু নির্বাচন পক্রিয়া এবং গণতান্ত্রিক চর্চার ধারাবাহিকতা বজায় উদ্দেশ্যে শিশু শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন হয়েছে। টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ১৭০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক যোগে উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা দেখে মনে হয়েছে এ যেন জাতীয় কোন নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন কোন প্রার্থী ভোটারদের আকর্ষণ করতে বিদ্যালয় এলাকায় ছবি সহ পোস্টার সাটিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিদ্যালয়গুলোতে ভোট গ্রহণকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা লক্ষ করা যায়।

শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, শিশুদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সৃষ্টির লক্ষে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ নির্বাচনে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাতজন শিক্ষার্থী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়। তারা বিদ্যালয়ের পরিবেশ সংরক্ষণ (বিদ্যালয় আংগিনা ও টয়লেট পরিস্কার এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা), পুস্তক এবং শিখন সামগ্রী, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি, পানি সম্পদ, বৃক্ষ রোপন ও বাগান তৈরি ইত্যাদি এবং অভ্যর্থনা আপ্যায়নের দায়িত্ব পালন করবে।

কোমলমতি শিক্ষার্থীরা অন্যরকম আনন্দের মধ্যে দিনটি পার করেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোন কোন প্রার্থী ফেসবুকের মাধ্যমেও প্রচারণা চালায়। এছাড়া সহপাঠিসহ সিনিয়র শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে জয়ী করতে প্রচারনা চালান। তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং ভোট প্রদান করে।

নির্বাচন অবাদ ও নিরপেক্ষ করার লক্ষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকেই প্রিজাইডিং, পোলিং কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তার কাজে পুলিশ ও আনসার সদস্যের দায়িত্ব পালন করা হয়। 

আরও পড়ুনঃ  জাতির স্বার্থে অবাধ নির্বাচন প্রয়োজন: সিইসি

এ ব্যাপারে সদরের আলহাজ মো. শফি উদ্দিন মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শুভ্রত সরকার ও পুষ্টকামুরী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শরফুন নেছা খানম বলেন, এবছর নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেক বেশী উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

একই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতাকারী বিজয়ী সামিহা বলে, সবাই আমাকে ভোট দিয়ে জয়ী করেছে। তারজন্য আমি খুব খুশি। সবার সাথে মিলেমিশে থাকতে চাই।  মির্জাপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আলমগীর হোসেন বলেন, শিশুদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার জন্যই সরকার এই নির্বাচনের আয়োজন করেছে। 

সংবাদটি শেয়ার করুন