ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরেকধাপ এগিয়ে বে টার্মিনাল

আরেকধাপ এগিয়ে বে টার্মিনাল
  • দুই কোরিয়ান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের চুক্তি

চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এই চুক্তির মাধ্যমে বিদেশি প্রতিষ্ঠান দুটি বে-টার্মিনাল প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ নকশা প্রণয়ন, টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্রের কাগজপত্র তৈরি এবং নির্মাণকাজের তদারকি করবে।

গত মঙ্গলবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে দুই কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ‘ডিয়েন ইয়াং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড’ এবং ‘কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেড’ এর সঙ্গে চুক্তি সই করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ চুক্তির মাধ্যমে বে-টার্মিনাল প্রকল্প বাস্তবায়নে আরো একধাপ এগিয়ে গেল কর্তৃপক্ষ।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে নৌ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি হিসেবে নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং অতিথি হিসেবে কুনওয়া ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসালটিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট হুয়াং কু ইয়ং ও চেয়ার অব দ্য সিরিমনি হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান গণমাধ্যমকে বলেন, বে-টার্মিনালের কাজ এগিয়ে নিতে কোরিয়ান দুই প্রতিষ্ঠানের সাথে আজ চুক্তির কাজ শেষ হয়েছে। আমরা এ প্রকল্পের কাজে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেলাম। এই প্রতিষ্ঠান দুটি প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ নকশা প্রণয়ন, টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্রের কাগজপত্র তৈরি এবং নির্মাণকাজের তদারকি করবে। প্রকল্পের এ কাজের জন্য এই দুই প্রতিষ্ঠানকে ১২৬ কোটি ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯৮৬ টাকা প্রদান করা হবে। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে তারা পূর্ণাঙ্গ নকশা জমা দেবে।

বন্দর চেয়ারম্যান আরো বলেন, বে-টার্মিনাল প্রকল্পে তিনটি টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে একটি বন্দরের নিজস্ব অর্থায়নে করা হলেও অন্য দুটি টার্মিনাল পিপিপি (প্রাইভেট-পাবলিক-পার্টনারশিপ) ভিত্তিতে নির্মিত হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বে-টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে নির্মিত টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৫টি জাহাজ ভিড়তে পারবে। যেখানে বন্দরের বিদ্যমান ফ্যাসিলিটিতে (সুযোগ-সুবিধা) জেনারেল কার্গো, সিসিটি ও এনসিটি মিলে ১৯টি জাহাজ ভিড়তে পারে। প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা কাটছে। সবমিলিয়ে প্রকল্পের কাজ গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন