আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার বিচারের মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শুনানি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে যখন গাম্বিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আবুবাকর তামবাদু মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর একের পর এক নৃশংসতার ঘটনা তুলে ধরেন। তখন সেখানে পাথরের মত মুখ করে বসে ছিলেন নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী অং সান সু চি।
নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগ শহরে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মঙ্গলবার মামলার বিচারের শুনানির শুরুতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি গণহত্যা বন্ধে মিয়ানমারকে নির্দেশ দিতে অনুরোধ জানিয়েছে গাম্বিয়া।
গাম্বিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রী আবুবাকর তামবাদু জানান, সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর মিয়ানমারকে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে হবে। তাদেরকে এই বর্বরতা ও হিংস্রতা বন্ধ করতে হবে, যা আমাদের সবার বিবেককে ব্যথিত ও ব্যথাহত করে যাচ্ছে। দেশটিকে নিজের নাগরিকদের বিরুদ্ধে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।
তামবাদু বলেন, গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের মধ্যে এটা কঠিন একটা বিতর্ক। মিয়ানমারকে গণহত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতির মধ্যে নিয়ে আসার মাধ্যমে এই কনভেনশনে আমরা কেবল রোহিঙ্গাদের অধিকারই না, রাষ্ট্রীয় পক্ষ হিসেবে নিজেদের অধিকারও রক্ষা করতে চাই।
মিয়ানমার এসব অভিযোগে প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে মিজ সু চি বলেন, এই বিষয়ে বিচার করার আইসিজের কোনো অধিকার নেই।
অক্সফোর্ডের ট্রিনিটি কলেজের আইনের অধ্যাপক মাইকেল বেকার বলছেন, আদালত এই রায় দেবে কি দেবে না, সেটা নতুন বছরের শুরুর দিকেই জানা যাবে। এটা এক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার সূচনা মাত্র।
এই মামলাটির নিষ্পত্তি হতে কয়েক বছর লেগে যাবে। কিন্তু গোড়ার দিকেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরের রোহিঙ্গাদের জন্য নিরাপত্তা বিধানের প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
-খবর বিবিসি
আনন্দবাজার/এম.কে