একফোঁটা পানি থেকেই জীবের সৃষ্টি, তাই জীবন একটা সমুদ্র। আর এই জীবন সমুদ্র তীরে বসে যদি কেউ নিজের অতীতের সমস্ত হিসেব টানে তাহলে ভবিষ্যতের অংক মিলে যাবে। তবে সমুদ্র হয়ে যাচ্ছে আক্রান্ত। কারন, ৩ ভাগ জল আর এক ভাগ স্থলের এই পৃথিবীতে যদি সমুদ্র প্রতিশোধ নেয় আমরা কই যাবো! এরকমই একটা গুঢ় বিষয় এবং প্রেক্ষাপট নিয়ে ‘ডেজা ভ্যু’ নামে মুক্ত দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। চলচ্চিত্রটিকে দিয়েছে প্রাণ সাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক।
ফ্রান্সের বিশ্ব কান চলচ্চিত্র উৎসবে চূড়ান্ত তালিকায় উঠে এসেছে ‘ডেজা ভ্যু’। এবং জাপান-ইন্ডিয়া আয়োজিত হোয়াইট ইউনিকর্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এর স্পেশাল জুরি এওার্ড, একইভাবে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছে স্পেনের এলগ্রিত দি লস সিন ভয চলচ্চিত্র উৎসব থেকে।
‘ডেজা ভ্যু’ দাদা সাহেব ফালকে ২০২২ থেকে পেয়েছে অফিসিয়াল সিলেকশান ও বিশেষ আমন্ত্রণে পরিচালক এবং প্রযোজক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে দিল্লি যাচ্ছেন এ মাসেই। ইংল্যান্ডের পাইনউড স্টুডিওর লিফট অফ গ্লোবাল নেটওয়ার্ক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে ও ইংল্যান্ডের ফার্স্টটাইম ফিল্ম মেকার চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পেয়েছেন অফিসিয়াল সিলেকশন।
‘ডেজা ভ্যু’ প্রযোজনা করেছেন ফারাহ নাজ আলম ও গল্প, সংলাপ, চিত্রনাট্য,পরিচালনা এবং সম্পাদনা করেছেন রায়হান শশী। চিত্র গ্রাহক সাঈদ মুস্তাকিম অনিক, অসাধারণ প্রোডাকশন ডিজাইন করেছে হাসান অয়ন ও নির্মান করেছে উড়ুপ ট্রপ প্রোডাকশন।
পরিচালক মনে করেন, ‘ডেজা ভ্যু’ চলচ্চিত্রের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয়গুলোর অন্যতম বিষয় হচ্ছে, ‘নারী ভোগ দখল করার জন্য নয়। নারী, পুরুষের চেয়েও বেশি একজন মানুষ। অপর বিষয়টি হচ্ছে তিন ভাগ জল এবং এক ভাগ স্থলের এই পৃথিবীতে মানুষ যেভাবে সমুদ্রকে দুষিত করছে যদি কোনদিন সমুদ্র পৃথিবীর মানুষের উপর প্রতিশোধ নেয় তাহলে মানুষ কোথায় যাবে, সেই ভাবনা।
চলচ্চিত্রটির বিবেকের ভূমিকায় অভিনয় করছে ইমরান হোসেন, জীবনের ভুমিকায় তামিম তপু। চলচিত্রে ইমরানকে দেখা যাবে অজানা এক দ্বীপে থিতু হওয়া জীবনের আলোর দিশারী হয়ে আবির্ভাব হতে।
স্বনামধন্য পরিচালক, গল্পকার, গীতিকার, অভিনেতা এবং শিক্ষক প্রয়াত কায়েস চৌধুরী ছিলেন ‘ডেজা ভ্যু’ চলচ্চিত্র টিমের প্রধান অভিভাবক। নিজে হাতে সমস্ত কিছু গুছিয়ে এনে দিয়েছিলেন নিজের সন্তান সমতুল্য রায়হান শশীর জন্য।
আনন্দবাজার/টি এস পি