শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভেঙে গেল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট

ভেঙে গেল পাকিস্তানের পার্লামেন্ট
  • ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ হয়ে যাওয়ার পর দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। গতকাল রবিবার জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়ার পর ইমরান খানের পরামর্শে আইনসভা ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। দেশটির সংবিধানের ৫ম অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে আগামী তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অন্যদিকে নির্বাচনের জন্য দেশবাসীকে প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান ইমরান খান। অনাস্থা প্রস্তাবে ভোট শুরু হওয়ার আগে বিক্ষোভ, জমায়েত বন্ধ করতে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরেও।

এর আগে রবিবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। পরে সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। একইসঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাবকে পাকিস্তানের সংবিধানের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদের পরিপন্থি হিসেবেও আখ্যা দেন তিনি।

অনাস্থা প্রস্তাব নাকচ হওয়ায় ইমরান খান জাতিকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বিদেশি ষড়যন্ত্রে সরকার পরিবর্তনের প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করেছেন ডেপুটি স্পিকার। পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের করা আগের দাবিগুলোর কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপের পেছনে বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল।

আরও পড়ুনঃ  সানীকে ‘ভাই’ ডাকলেন মৌসুমী

উল্লেখ্য, অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও ভুল পররাষ্ট্রনীতির অভিযোগে ইমরান খানের জোট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিরোধী দলগুলো। একপর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ এক শরিক বিরোধী শিবিরে যোগ দিলে জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় সরকার।

সংবাদটি শেয়ার করুন