রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রোজায় ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ

রোজায় ৬ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ
  • বিকেল ৫টা-রাত ১১টা

এবারের রমজান মাসে সারাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দেশের সব সিএনজি স্টেশন আরও এক ঘণ্টা বেশি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রমজানে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা দেশের সব সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে। রোজার প্রথম দিন থেকে নতুন এ সময়সীমা কার্যকর হবে।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ তৈল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তারিকুল ইসলাম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার আসন্ন পবিত্র রমজান মাসের শুরু থেকে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত বিকেল ৫টা হতে রাত ১১টা পর্যন্ত অর্থাৎ মোট ৬ ঘণ্টা সব সিএনজি স্টেশন হতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি এ সিদ্ধান্ত মোতাবেক সারাদেশে সিএনজি স্টেশনগুলোকে উল্লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ভিজিল্যান্স টিমগুলো নিয়মিত মনিটরিং করবে বলে জানায় সংস্থাটি। সিদ্ধান্ত অমান্যকারী সংশ্লিষ্ট সিএনজি স্টেশনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ গ্যাস আইন-২০১০ অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়। জনসাধারণের সাময়িক এ অসুবিধার জন্য পেট্রোবাংলা বিজ্ঞপ্তিতে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।

গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের সরবরাহ ঠিক রাখতে গত ১ মার্চ প্রতিদিন ৪ ঘণ্টার বদলে ৫ ঘণ্টা সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে মোতাবেক বর্তমানে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দেশের সব সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকে।

আরও পড়ুনঃ  সূচকের পতনে শেয়ারবাজারে চলছে লেনদেন

এর আগে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা সব সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার ঘোষণা এসেছিল। এর প্রায় সাড়ে পাঁচ মাস পর গত ১ মার্চ পেট্রোবাংলার বিজ্ঞপ্তিতে সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সময় বাড়িয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত করা হয়। এবার রজমান সামনে রেখে তা আরও এক ঘণ্টা বাড়ানো হলো।

এদিকে পবিত্র রমজানে ইফতার, তারাবি নামাজ ও সেহরির সময় লোডশেডিং না দেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে  মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। ওইদিন রমজান ও চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতির সার্বিক বিষয়ে বিদ্যুৎ ভবনে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

জ্বালানি বিভাগ সূত্র বলছে, গ্যাসের সরবরাহ ঘাটতির কারণে এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। সরকার বিদ্যুতে গ্যাস সরবরাহ বাড়িয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে চায়।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন