ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসল ও নকল প্রসাধনীর পার্থক্য বুঝবেন যেভাবে

ত্বক এবং চুলের যত্নে আমরা কত কিছুই না করি। বাজার থেকে বিভিন্ন রকম নামীদামী প্রসাধনী কিনে আনেন অনেকে। তবে বাজার থেকে প্রসাধনী কেনার সময় বেশিরভাগ সময়ই আমরা আসল ভেবে নকলটি কিনে থাকি। অজান্তেই সেগুলো ব্যবহারের পরে ত্বক এবং চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বর্তমানে বেশিরভাগ মেয়েরাই অনলাইনে প্রসাধনী কিনে থাকেন। সেক্ষেত্রে নকল পণ্য পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে। তবে নকলের ভিড়ে আসল প্রসাধনী খুঁজে বের করার কিছু উপায় রয়েছে। তো চলুন তবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে আসল ও নকল পণ্যের পার্থক্য বুঝবেন-

পণ্যের প্যাকেট এবং লোগো দেখে কিনুন। কেনার আগে আপনি যে ব্র্যান্ডের পণ্যটি কিনতে চাচ্ছেন গুগলে আসল পণ্যের বৈশিষ্ট্য দেখ নিন। তাহলে সহজেই চিনতে পারবেন নকল পণ্যটি

লোগো দেখার পাশাপাশি বারকোড পণ্যের গায়ে আছে কি-না দেখে নিন। যদি থাকে তাহলে দ্রুত নিজের ফোন বের করে স্ক্যানারের সাহায্যে স্ক্যান করলেই পণ্যটি আসল না-কি নকল তা জানতে পারবেন।

আমরা অনেক সময় বিভিন্ন লোকাল দোকান থেকে প্রসাধনী কিনে থাকি। এসব লোকাল দোকানেই নকল প্রসাধনী থাকে বেশি। তাই ভালো ব্র্যান্ডের প্রসাধনী কিনতে অবশ্যই বড় মার্কেট অথবা ব্র্যান্ডের আউটলেট থেকে কেনা ভালো।

আইশ্যাডো, ব্লাশঅন, লিপস্টিক ও পাউডার সাধারণত আসল পণ্যের মতো একই রঙের হয় না। সব আইশ্যাডোর রং একই রকম দেখালেও যখন সেটি সোয়াচ করবেন তখনই বুঝবেন সেটি পাউডারের মতো এবং রং অনেক হালকা। নকল পণ্য হলে দু-তিন বার একই স্থানে রঙটি ব্যবহার করলেও নির্দিষ্ট কালার আসে না।

পণ্যের প্যাকেটের গায়ে পণ্যের একটি সিরিয়াল নাম্বার থাকে। ভেতরে পণ্যের গায়েও একই সিরিয়াল নাম্বার আছে কি-না সেটি মিলিয়ে নিন। নকল পণ্যে যেকোনো একটি সিরিয়াল নাম্বার মিসিং থাকে। আসল পণ্যে অবশ্যই উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ দেওয়া থাকবে।

অনেক সময় ফেস পাউডার, ব্লাশঅন ইত্যাদির ক্ষেত্রে নকল পণ্য বোঝার উপায়ই থাকে না। সেক্ষেত্রে দেখুন সাথে দেওয়া ব্রাশ বা তুলি নিম্নমানের কি-না। নকল পণ্যের ক্ষেত্রে এগুলো খুবই নিম্নমানের হয়।

যে প্রসাধনীটি কিনছেন; সেটির গন্ধ পরীক্ষা করে নিন। ব্র্যান্ডের পণ্যের গন্ধ সবসময় হালকা হয়। নকল পণ্য তীব্র বা কটু গন্ধযুক্ত হয়। এমন পণ্যে কেমিক্যালের পরিমাণও থাকে বেশি।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন