শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাতিজাকে হাত বেঁধে মাটিতে পুঁতে নির্যাতন

ভাতিজাকে হাত বেঁধে মাটিতে পুঁতে নির্যাতন

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মধ্যযুগীয় কায়দায় আপন বড় ভাইয়ের ছেলে (ভাতিজা) নূর ইসলামের (৩৫) দুই হাত পেছনে বেঁধে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রেখে নির্যাতন করেছে তারই আপন চাচা আলিমদ্দিনসহ পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নূর ইসলামকে উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আটক করে। গত শনিবার বিকেলে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের আবু তাহের মারা যাওয়ার পর সহোদর ছোট ভাই আলিমদ্দিন কর্তৃক জাল দলিলে লিখে নেওয়া কিছু জমি নিয়ে বিরোধ বাঁধে মৃত তাহেরের ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় পর্যায়ে একাধিকবার শালিশি বৈঠক হলেও সুরাহা মিলেনি। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে নূর ইসলামের বাড়িতে যায় এবং তারই বাড়ির আঙ্গিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে। পরে বেলা আড়াইটার দিকে নূর ইসলামের দুই হাত পেছনে রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে। এ সময় নূর ইসলামের পরিবারের লোকজন চিৎকার করলেও স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী আলিমদ্দিনের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে খবর পেয়ে বিকেল তিনটার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় পুঁতে রাখা নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদিকে বর্বরোচিত এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

আরও পড়ুনঃ  পিআইবিতে ডিএসইসি সদস্যদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন

নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ বিষয়ে নূর ইসলামের স্ত্রী বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামালা দায়ের করেছেন। এরমধ্যে তিন জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন