শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিরামিক পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা বাড়াবে সরকার

সিরামিক পণ্য রপ্তানিতে সহায়তা বাড়াবে বাংলাদেশ সরকার। ইতোমধ্যে দেশের সিরামিক পণ্য বিশ্ববাজারে অনেক পরিচিতি লাভ করেছে। উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশের তৈরি সিরামিকের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিরামিকের গুণগতমান ও নির্মাণশৈলী ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করছে। বাংলাদেশ সরকার তৈরি পোশাকের পাশাপাশি যেসব পণ্য রপ্তানিতে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম সিরামিক পণ্য।

রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় গতকাল তিন দিনব্যাপী ‘সিরামিক এক্সপো-২০১৯’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিরামিক পণ্য তৈরির জন্য কাঁচামাল ছাড়া অত্যাধুনিক ও পরিবেশবান্ধব কারখানা, গ্যাস-বিদ্যুৎ এবং সহজলভ্য দক্ষ শ্রমিক আমাদের রয়েছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাজারে টিকে থাকার সক্ষমতা বাংলাদেশের আছে। সিরামিক শিল্পকে আরও লাভজনক ও রপ্তানিমুখী করতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। যেসব ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে, তা চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নানা প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করে আজ বর্তমান অবস্থানে এসেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। এখন সিরামিক শিল্পের প্রসার ঘটছে দ্রুত। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। এ শিল্প আমাদের ঐতিহ্য ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, এ সুযোগকে আমরা কাজে লাগাতে চাই। আমাদের ঘরে ঘরে সিরামিকের ব্যবহার বাড়ছে। দেশেই উৎপাদনের কারণে তুলনামূলক কম দামে মানুষ সিরামিকসামগ্রী ব্যবহার করতে পাচ্ছেন।

আরও পড়ুনঃ  বাড়ছে সরকারের ব্যাংক ঋণ, কমছে রাজস্ব

উল্লেখ্য, এবার ২০টি দেশের ১২০টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১৫০টি ব্র্যান্ড নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে। এছাড়া ৩০০ জন আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও প্রায় ৫০০ জন বায়ার হোস্ট রয়েছে। বিগত ১০ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। ৫০টিরও বেশি দেশে বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য রপ্তানি করে আয় হচ্ছে প্রায় পাঁচ কোটি ডলার। বর্তমানে সিরামিক শিল্পে প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। এ শিল্পে দেশের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন