ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম বেড়ে যেকোনো সময়ের সর্বোচ্চে উঠেছে। যার মধ্যে ভোজ্যতেল ও দুগ্ধপণ্যের বাজারদর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এ তথ্য জানিয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে এফএও খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক গড়ে ১৪০ দশমিক ৭ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। গত জানুয়ারির তুলনায় মূল্যসূচক বেড়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আর গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ১ শতাংশ। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৩ দশমিক ১ শতাংশ মূল্যসূচক বেড়েছে।

এফএও জানায়, খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম বাড়ার পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে ভোজ্যতেল। এক মাসের ব্যবধানে দাম ৮ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে অতীতের যেকোনো রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ভোজ্যতেলের মধ্যে মূলত পাম অয়েল, সয়াবিন ও সূর্যমুখীর দাম সর্বাধিক বেড়েছে।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে ভোজ্যতেলের আমদানি চাহিদায় ঊর্ধ্বমুখিতা অব্যাহত ছিল। তবে করোনা মহামারীর কারণে সরবরাহজনিত যেসব জটিলতা দেখা দিয়েছিল, তা কাটেনি এখনো। যার মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ পাম অয়েল সরবরাহকারী দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে রফতানি কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হন ব্যবসায়ীরা। এদিকে লাতিন আমেরিকায় খরার প্রভাবে কমে গেছে সয়াবিন উৎপাদন। রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কৃষ্ণ সাগরীয় অঞ্চল থেকে সূর্যমুখী তেল রফতানি ব্যাহত হচ্ছে।

এফএওর মূল্যসূচক অনুযায়ী, গত মাসে দুগ্ধপণ্যের দাম জানুয়ারির তুলনায় ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়েছে। মূলত পশ্চিম ইউরোপ ও ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশগুলো থেকে দুধ সরবরাহ আশঙ্কার চেয়ে বেশি কমে যাওয়ায় বাজারদরে ঊর্ধ্বমুখিতা তৈরি হয়। সেইসাথে শক্তিশালী আমদানি চাহিদাও দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে। বিশেষ করে উত্তর এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যে দুগ্ধপণ্যের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী।

ফেব্রুয়ারিতে দানাদার খাদ্যশস্যের দাম এক মাসের ব্যবধানে ৩ শতাংশ বেড়েছে। গম ও চাল ব্যতীত অন্যান্য শস্য জ্বালানি জুগিয়েছে। ভুট্টার দাম ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় শস্যের আবাদ নিয়ে উত্কণ্ঠা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। তার ওপর অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে ইউক্রেনের ভুট্টা রফতানি।

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন