অর্থনীতিবিদদের অনুভূত চাহিদার প্রতি সাড়া দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন দেশের পরিকল্পনা কমিশনের প্রথম কো-চেয়ারম্যান ড. নুরুল ইসলাম।
তিনি তরুণদেরকে তাদের আগ্রহের উপর নির্ভর করে একটি কর্মজীবন বেছে নিতে উপদেশ দেন। বলেন, সম্ভাবনা এবং পরিস্থিতি কর্মজীবন নির্ধারণ করবে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ইকোনমিকস স্টাডি সেন্টার আয়োজিত ৮ দিনব্যাপি চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনীতি সম্মেলনে (বিইএস) সমাপনী সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এদিন অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ সভাপতিত্বে “অর্থনীতির আলোকবর্তিকা: অতীতের গল্প এবং ভবিষ্যতের প্রত্যাশা” শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইয়েদুজ্জামান।
বিশ্বব্যাংকের প্রাক্তন লিড প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট ড. সৈয়দ আখতার মাহমুদের নেতৃত্বে সমাপনী অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ড. সাজ্জাদ জহির, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তবে অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলামের উপস্থাপিত দর্শকদের জন্য একটি বিশেষ বার্তা। কীভাবে তিনি ঘটনাক্রমে একজন অর্থনীতিবিদ হয়ে উঠলেন, কীভাবে ৬-দফা আন্দোলন সেই সময়ের অর্থনীতিবিদদের দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল এবং সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে কীভাবে অগ্রগতি হয়েছিল তা তিনি তুলে ধরেন।
আলোচকরা আনুষ্ঠানিক কথোপকথন থেকে বেরিয়ে আড্ডার ছলে আলোচনা করেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক চিন্তাধারা এবং উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক সময়ের অনুশীলন থেকে শুরু করে আমাদের পাঠ্যক্রমের মতো অর্থনীতি এবং নীতি নির্ধারণে অর্থনীতির অনুশীলন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। আলোচনার এক পর্যায় ড. সাজ্জাদ জহির মন্তব্য করেন যে, “বহুদিন ধরে আমাদের দেশে অর্থনীতি নিয়ে নতুন চিন্তা নেই। ড. দেব প্রিয় বলেন, মানুষের মঙ্গল চিন্তা করাই অর্থনীতির কাজ। কেননা অর্থনীতি এমন বিজ্ঞান যা মানুষকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে থাকে।
আনন্দবাজার/টি এস পি