বাঁশের তৈরি চালন, চাঙ্গারী, ওরা, কুলা, দোলনা, মাছ ধরার পলো, চাইসহ নানান ধরনের বাঁশের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করে দিন কাটে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বাঘড়া এলাকার জাহাঙ্গীর বেপারীর (৪৮)। ঐতিহ্যবাহী বাঁশের এসব সামগ্রী যুগযুগ ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় বিলুপ্তির পথে হস্তশিল্পের জিনিসপত্র এখনও কদর থাকায় এসব সামগ্রী ফেরী করে বিক্রি করে আয় উপার্জন করছেন জাহাঙ্গীর। বাঘড়া ইউনিয়নের বাঘড়া গ্রামের জুলমত বেপারীর পুত্র জাহাঙ্গীর বেপারী ১০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত আছেন। মাসে আয় হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা।
জানা যায়, শ্রীনগর উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটের মোড়ে কিংবা মহল্লা ও পাড়ায় পাড়ায় ভ্যান গাড়িতে করে সাংসারিক কাজেকর্মে ব্যবহারযোগ্য গ্রাম বাংলার জনপ্রিয় হস্তশিল্প বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে জাহাঙ্গীরকে ঘুরে বেড়াতে। এসব জিনিসপত্র কিনতে ভ্যানের সামনে ক্রেতারা ভিড় জমান। ৮০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত দামের বাঁশের তৈরি পণ্য রয়েছে তার সংগ্রহে।
মো. জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন, সামান্য পুঁজি নিয়ে এ ব্যবসা শুরু করেন। সপ্তাহের ৪ থেকে ৫দিন ভ্যান গাড়িতে করে জিনিসপত্র নিয়ে বিক্রির জন্য ফেরিতে বের হন। মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, লৌহজং, পার্শ্ববর্তী ঢাকা জেলার দোহার উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে এগুলো বিক্রি করেন। টাঙ্গাইল ও ফরিদপুরের পাইকারি বাজার থেকে বাঁশের এসব সামগ্রী সংগ্রহ করে আনেন। এ ব্যবসায় আয় ভালই হচ্ছে। স্ত্রী, সন্তান ও পরিবার পরিজন নিয়ে সুখেই আছি।