বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্চ-এপ্রিলে সবধরনের মাছ ধরা নিষেধ

মার্চ-এপ্রিলে সবধরনের মাছ ধরা নিষেধ

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা সংরক্ষণের জন্য আজ মার্চের প্রথম দিন  থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস ৬ জেলার ৫টি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সবধরনের মাছ ধরা নিষেধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় বরিশাল, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, শরীয়তপুর ও পটুয়াখালী জেলায় সবধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

গতকাল সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ ইফতেখার হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

৫টি অভয়াশ্রম হচ্ছে ১. চাঁদপুর জেলার ষাটনল হতে লক্ষ্মীপুর জেলার চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত মেঘনা নদীর নিম্ন অববাহিকার ১০০ কিলোমিটার এলাকা। ২. ভোলা জেলার মদনপুর/চর ইলিশা হতে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর শাহবাজপুর শাখা নদীর ৯০ কিলোমিটার এলাকা। ৩. ভোলা জেলার ভেদুরিয়া হতে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেতুলিয়া নদীর প্রায় ১০০ কিলোমিটার এলাকা। ৪. শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা এবং চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলার মধ্যে অবস্থিত পদ্মা নদীর ২০ কিলোমিটার এলাকা ও ৫. বরিশাল জেলার হিজলা, মেদেন্দীগঞ্জ ও বরিশাল সদর উপজেলার কালাবদর, গজারিয়া ও মেঘনা নদীর প্রায় ৮২ কিলোমিটার এলাকা।

মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর ধারা ৩ এর উপধারা ৫ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকারঘোষিত এ ৫টি অভয়াশ্রমে প্রতিবছর মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশ, জাটকাসহ (২৫ সে.মি./১০ইঞ্চি অকারের ইলিশ) সবধরনের মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকে। এ সময় অভয়াশ্রমে মাছ আহরণ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। আইন অমান্যকারী কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অভয়াশ্রম সংশ্লিষ্ট জেলায় এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা নিবন্ধিত জেলেদের ইতোমধ্যে ৮০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  মা নাকি মায়ের মতো!

সংবাদটি শেয়ার করুন