৯ থেকে ১১ জুলাই ন্যাটোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জোটের সাধারণ সম্পাদক জেনস স্টোলটেনবার্গের সভাপতিত্বে ওয়াশিংটনে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের মতে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তার কথিত অবনতির প্রেক্ষাপটে সম্মিলনটি অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে ৩২টি সদস্য দেশের প্রতিনিধি দল, সেই সঙ্গে অন্যান্য আমন্ত্রিত রাষ্ট্র এবং সংস্থার প্রতিনিধিরা অন্যান্য বিষয়গুলোর মধ্যে কীভাবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে রাশিয়ার ‘কৌশলগত পরাজয়’ নিশ্চিত করা যায়, সেই সঙ্গে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ন্যাটোর অগ্রগতির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন যে, সোভিয়েত ইউনিয়নকে সর্বব্যাপী নিয়ন্ত্রণ করার জন্য জোটটি তৈরি করা হয়েছিল। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন বিলুপ্ত হওয়া সত্ত্বেও ন্যাটোর রুশবিরোধী নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মস্কোর সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার ঘোষণা সত্ত্বেও ন্যাটো রাশিয়ার নিরাপত্তার ক্ষতির জন্য উসকানিমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে, যার মধ্যে রয়েছে জোটের পূর্বে সম্প্রসারণ, সামরিক অবকাঠামো রাশিয়ার সীমান্তে কাছাকাছি নিয়ে আসা, সোভিয়েত-পরবর্তী রাজ্যগুলোকে তাদের কক্ষপথে নিয়ে যাওয়া।
কসোভো সংকটের সময় ন্যাটো জোট দেখিয়েছে যে, এটি কেবল একটি রাজনৈতিক সংগঠন নয় বরং একটি সক্ষম সামরিক জোট, যারা কি না জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে পাশ কাটিয়ে যুদ্ধ ও শান্তির সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য একতরফাভাবে প্রস্তুত। এরপর ন্যাটো আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে এবং লিবিয়ায় ‘মানবিক’ হস্তক্ষেপ চালায়। এর কয়েক দিন পর ব্রাসেলসে তারা একটি ‘বৈশ্বিক ন্যাটো’ কনসেপ্ট নিয়ে হাজির হন, যেখানে অনেক দেশেই জোটের সদস্য হন। ইউক্রেনের সংকট ন্যাটো জোটকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে এনেছে, তারা রাশিয়াকে শত্রু হিসেবে দমন করতে চেয়েছিল কিন্তু সেটি করতে তারা ব্যর্থ হন।
উল্লেখ্য যে, ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার অনেক আগে থেকেই ন্যাটো কিয়েভকে রাজনৈতিক, আর্থিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করতে শুরু করে। ১৯৮৯ সালে জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান কলিন পাওয়েল বলেছিলেন যে আগামীকাল যদি ন্যাটোর নতুন সদস্যদের জন্য দরজা খোলা হয়ে, তা হলে এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের টেবিলে বেশ কয়েকটি আবেদন থাকবে-সম্ভবত ইউক্রেন থেকেও। এমনকি এখনও ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে ব্রাসেলস ঘোষণা করে যে, যদিও ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদানের আমন্ত্রণ পাবে না, তবে কিয়েভের জন্য এই লক্ষ্যের একটি সেতুবন্ধন তৈরি করা হবে।
২০১৪ সালে ইউক্রেনে পশ্চিমা-প্রবর্তিত অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য মস্কোর সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপগুলো ন্যাটো জোটকে তার ‘আসল চেহারা’ দেখাতে বাধ্য করেছিল। ক্রিমিয়ার রাশিয়ার অংশ হিসেবে প্রত্যাবর্তনকে ব্রাসেলস, রাশিয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছিল।
জোটের মতাদর্শগত সব নথিতে রাশিয়ান ফেডারেশনকে সম্ভাব্য শত্রু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। ন্যাটো স্ট্র্যাটেজিক কনসেপ্ট ২০২২ তে রাশিয়াকে ন্যাটোর নিরাপত্তার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।
ন্যাটোর সদস্য দেশগুলো কিয়েভকে ১৩২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করছে। এর মধ্যে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৬৩ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত কিয়েভে স্থানান্তরিত হয়েছে ৮০০ ট্যাঙ্ক; ৩.৫ হাজার সাঁজোয়া যুদ্ধ যানবাহন; ১.৫ হাজার আর্টিলারি টুকরা; ২৭০ রকেট লঞ্চার; ২৫০ বিমানবিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা; ৭.৭ হাজার ম্যানপ্যাড; ২৯০ হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক অস্ত্র; ১৩০ বিমান এবং হেলিকপ্টার; বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ৩০ হাজার মানহীন বিমান যানবাহন।
২০২৩ সালের প্রথমার্ধে ন্যাটো ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীর পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতির জন্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অস্ত্রের চালান প্রেরণ করেছিল, যা যুদ্ধে আমূল পরিবর্তন আনার এবং কিয়েভের শর্তাবলি নিয়ে আলোচনার জন্য করা হয়েছিল। যাই হোক, সরবরাহকৃত পশ্চিমা সরঞ্জামগুলো রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সফলভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
ন্যাটো সম্প্রতি সময়ে রাশিয়ার ভূখণ্ডে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার জন্য ইউক্রেনীয় সশস্ত্র বাহিনীকে উচ্চ-নির্ভুল দূরপাল্লার অস্ত্র সরবরাহের ওপর জোর দিয়েছে। কিয়েভের উদ্দেশ্য হলো মার্কিন নির্বাচনের আগে একটি আক্রমণ শুরু করে নব্য নাৎসিদের ক্ষমতা পাশ্চাত্যের কাছে প্রদর্শন করা।
ন্যাটো জেলেনস্কি সরকারকে স্যাটেলাইট, রাডার, নজরদারি বিমানের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহ করে ব্যাপক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্ত তথ্য রাশিয়ান ফেডারেশনের ভেতরে বেসামরিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে তোলা।
ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং ভাড়াটে সৈন্যরা ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে যুদ্ধে অংশ নেয়। রাশিয়ার অনুমান অনুযায়ী ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় ২ হাজার।
ব্রাসেলস যদি সত্যিই রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে ইউক্রেনের যুদ্ধের সমাধান করতে চায় তবে তারা অবশ্যই ইউক্রেনীয় সরকারকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ এবং নব্য নাৎসিদের ভাড়াটে সৈন্যদের দ্বারা পুনরায় সৈন্যের অভাব পূরণ করা বন্ধ করে দিত।
ওপরের বিষয়গুলো ছাড়াও রাশিয়ার বিরুদ্ধে বড় আকারের যুদ্ধের জন্য ন্যাটোর প্রস্তুতি রয়েছে। মার্কিন বৈশ্বিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন রাষ্ট্রে পারমাণবিক অস্ত্রের উপস্থিতি এবং দূরপাল্লার নির্ভুল অস্ত্রের উল্লেখযোগ্য মজুদের কারণে এ ধরনের কার্যকলাপ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন মার্কিন পারমাণবিক স্ট্রেটরাজি অনুযায়ী (২০২২ সালে গৃহীত) যুদ্ধে প্রথমেই পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। হোয়াইট হাউসে নিজেদের বিশাল সামরিক সক্ষমতা সম্পন্ন দেশ রাশিয়া ও চীনের কাছে যাতে দুর্বল দেখা না যায় সে জন্য এ ধরনের নিয়মকে ন্যায়সঙ্গত করেছে। আমেরিকান পারমাণবিক বোমা এবং ফাইটার স্কোয়াড্রনসহ পারমাণবিক বাহিনী তৈরি করাও উত্তর আটলান্টিক জোটের একটি ফোকাস।
বেলজিয়াম, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস এবং তুরস্কে প্রায় ২০০টি বিশেষ যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। পোল্যান্ড এবং বাল্টিক রাজ্যগুলো মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র রাখার পক্ষে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের প্রেক্ষাপটে ন্যাটো সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল এবং যুদ্ধ প্রশিক্ষণের তীব্রতা রাশিয়ার জন্য সামরিক হুমকির সমতুল্য। ২০২৩-২৪ সালে রাশিয়ান সীমান্তে স্টেডফাস্ট ডিফেন্ডারসহ ৪০টিরও বেশি বড় মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে সময়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ন্যাটো বাহিনী অভিযান পরিচালনার জন্যও আগ্রহী ছিল।
এ ছাড়াও ব্রাসেলস অন্যান্য ক্ষেত্রে জোটের সক্ষমতা বিকাশ করছে। সম্প্রতি ২০২২ সালে ‘মহাকাশে বিস্তৃত ন্যাটো নীতি’ ঘোষণা করেছে, তথ্য-মনস্তাত্ত্বিক এবং সাইবার অপারেশনের জন্য রাশিয়ান সীমান্তের পরিধি বরাবর পরিকাঠামো মোতায়েন করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার বৈশ্বিক নিশ্চয়তা প্রদানকারী দাবি করে ন্যাটো ইউরো-আটলান্টিক অঞ্চলের বাইরেও তার প্রভাব বিস্তার করতে চায়, বিশেষ করে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে (এপিআর) আন্তঃরাষ্ট্রীয় মিথস্ক্রিয়া ব্যবস্থার সংস্কারের জন্য। আমরা মনে করি যে ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলগুলোর প্রচারের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ওয়াশিংটন এবং ব্রাসেলস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত সামরিক ও রাজনৈতিক জোট তৈরি করা। আমরা এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না যে, অ্যাংলো-স্যাক্সনরা AUKUS-এর কাঠামোর সঙ্গে ন্যাটো বাহিনীকে সম্পূর্ণরূপে একীভূত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে নিয়ে ‘AUKUS PLUS’ গঠনের ধারণা প্রচার করা হচ্ছে।
আমরা ATP-তে সামরিক মহড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি রেকর্ড করছি। ১৯ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত রাশিয়ান ফেডারেশনের সীমানার কাছাকাছি উত্তর জাপানি দ্বীপ হোক্কাইডোতে, জার্মানি, ফ্রান্স এবং স্পেন প্যাসিফিক স্কাইস ২৪ এর সঙ্গে যৌথ মহড়া কয়েক ডজন যুদ্ধ বিমানের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে। ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বীদের’ প্রতিহত করার জন্য ফিলিপাইনে ওয়াশিংটন এবং ম্যানিলার মধ্যে যৌথ বালিকাটান মহড়ার জায়গা প্রসারিত হচ্ছে। সেনাবাহিনী উত্তরতম দ্বীপপুঞ্জ থেকে পালাওয়ানের দক্ষিণ-পশ্চিম দ্বীপ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।
ন্যাটো যদি বিশ্বব্যাপী আধিপত্য অর্জনে সফল হয়, তবে এশিয়ায় সমগ্র নিরাপত্তা কাঠামো ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এর ফলে আসিয়ান এবং অন্যান্য আঞ্চলিক গোষ্ঠীগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা হ্রাস পেতে পারে। অন্যদিকে এটি পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার নিয়ন্ত্রণকেও চ্যালেঞ্জ করে তুলবে। রাশিয়ান ফেডারেশনসহ এই অঞ্চলের প্রতিটি দেশের জন্য এটি একটি হুমকিস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। রাশিয়া এর জবাব দিতে বাধ্য এবং রাশিয়া তা করবেই।
ওপরে উল্লিখিত ন্যাটোর কর্মকাণ্ডের কোনো ইতিবাচক এজেন্ডা নেই এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এদের কোনো অবদান নেই। সঠিকভাবে বলতে গেলে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইউরোপীয় মিত্ররা বিগত বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তারা রাশিয়ার কোনো গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগকে সমর্থন দেয়নি। তারা অভিযোজিত সিএফই চুক্তি অনুমোদন করতে অস্বীকার করে, ইউরোপীয় নিরাপত্তা চুক্তি গুটিয়ে নেয় (২০০৮), তারা ন্যাটো-রাশিয়া কাউন্সিলের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা সম্পর্কের ভিত্তি সম্পর্কিত খসড়া চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেনি (২০০৯), তারা এই নিশ্চয়তা দিতে অস্বীকার করে যে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধ বাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত হবে না। আমেরিকানরা মিথ্যা অজুহাতে মধ্যবর্তী-পরিসীমা এবং সংক্ষিপ্ত-পরিসীমা ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি থেকে সরে এসেছিল, বারবার উন্মুক্ত আকাশের চুক্তি লঙ্ঘন করেছিল তারপরে এটি থেকে সরে আসে। মুখোমুখি পদক্ষেপের ফলে রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কৌশলগত আক্রমণাত্মক অস্ত্র আরও হ্রাস ও সীমাবদ্ধ করার ব্যবস্থা সম্পর্কিত চুক্তি চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব করে তুলে।
পশ্চিমাদের দায়িত্বজ্ঞানহীন পদক্ষেপের কারণে ইউরোপীয় নিরাপত্তার পরিস্থিতির অবনতি রোধ করার জন্য রাশিয়া ১৭ ডিসেম্বর ২০২১-এ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুরক্ষা গ্যারান্টি চুক্তি এবং ন্যাটোর সঙ্গে সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রস্তাব দিয়েছিল। নিরাপত্তার অবিভাজ্যতার নীতিগুলো নিশ্চিত করার জন্য এই নথিগুলো আইনত বাধ্যতামূলক উপাদানগুলোর স্পষ্টভাবে রূপরেখা দেয়। ন্যাটোর সম্প্রসারণ না করা, রাশিয়ার সীমান্তের কাছে হুমকিমূলক অস্ত্র ব্যবস্থা মোতায়েন না করা, আইএনএফ চুক্তি মোতায়েনের ওপর স্থগিতাদেশ প্রতিষ্ঠা, জোট বাহিনীর কনফিগারেশনটি তার আগেরটিতে ফিরিয়ে আনা, যা ১৯৯৭ সালে রাশিয়া-ন্যাটো প্রতিষ্ঠা আইন অনুযায়ী স্বাক্ষরিত হয়েছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা নিরাপত্তার অবিভাজ্যতাকে প্রত্যাখ্যান করেছে, যা রাজনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় আচরণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ সামরিক অভিযানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পর রাশিয়া কীভাবে তাদের ইউরোপীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলবে তা নির্ধারণ করবে।
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত