শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঁশশিল্পে সৌখিনপণ্যের টিকে থাকার লড়াই

বাঁশশিল্পে সৌখিনপণ্যের টিকে থাকার লড়াই

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়নের পুলহাট বাজার। পথের ধারে ছোট্ট একটি সাইনবোর্ডে লেখা বাঁশের চারা উৎপাদনকারী নার্সারির নাম। বাঁশ বাংলাদেশের অতি পরিচিত উদ্ভিদ বৃক্ষ হলেও এর চারা উৎপাদনের কোনো নার্সারি কখনো চোখে পড়েনি। সাইনবোর্ডের নিচে ‘ব্রীফ’ নামের একটি বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) নাম লেখা। এনজিওটি দীর্ঘদিন ধরে দিনাজপুর অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে।

বাঁশের বেড়া ঠেলে ব্রীফের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে দেখা যায়, এটি একটি অফিস কাম শোরুম। বিভিন্ন সৌখিনপণ্যে ঠাসা। সব পণ্যই বাঁশের তৈরি। কী নেই সেখানে! বাঁশের চেয়ার-টেবিল থেকে শুরু করে কলমদানি, বিভিন্ন রকমের বাহারি ঝাড়বাতি, ফল রাখার ঝুড়ি, টেবিলে ফাইল রাখার ট্রে, ফুলদানি, দেয়ালঘড়ি, টিস্যুবক্স, পানি খাওয়ার মগ, পানির বোতল, ফ্লাওয়ার স্ট্যান্ড, বিভিন্ন শোপিসসহ অনেক পণ্য অগোছালোভাবে গোটা রুমে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা। শুধু তাই নয়, প্রাচীন যুগে বাঁশের তৈরি নানা জিনিসপত্রও রয়েছে। এ যেন বাঁশশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রাখার লড়াই।

পাশের কক্ষে বাঁশ প্রক্রিয়াজাতকরণের বিভিন্ন মেশিন ও অন্যান্য দেশীয় যন্ত্র দিয়ে কাজ করছেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। তাঁরা জানান, এখানে প্রক্রিয়াজাত করার পর সেই বাঁশ মজুরেরা নিয়ে যান। তারপর চাহিদামতো বিভিন্ন জিনিস তৈরি করে সেগুলো তাঁরা হাটবাজারসহ বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করেন। এখান থেকে বাঁশের তৈরি পণ্য যায় দেশের বাইরেও। 

জানা যায়, ইতিমধ্যে দিনাজপুর ও নীলফামারীর তিন শতাধিক নারী ও পুরুষকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাঁশ দিয়ে নিত্যব্যবহার্য পণ্যের পাশাপাশি সৌখিনপণ্য তৈরির কাজে নিয়োজিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সাংবাদিক ইমাম হোসেন মনা আর নেই

ব্রীফের কার্যালয় সংলগ্ন পালপাড়া। সেখানে একজন জানান, বাঁশ দিয়ে তৈরি সৌখিনপণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে। নীলফামারী সদর উপজেলার বড়ুয়া গ্রামে সেখানে এখনো কুড়িটির মতো পরিবার বাঁশশিল্পের ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। বাঁ শিল্পের দিকে সুনজর দিলে এটি হতে পারে রফতানি আয়ের উৎস।

সংবাদটি শেয়ার করুন