শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে তরুণীর মৃত্যু, তদন্ত কমিটি গঠন

রংপুর মহানগর পুলিশের কোতয়ালি থানার ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে মিস রুহি (১৯) নামে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে মহানগর পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আবু মারুফ হোসেন জানান, পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলম ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মাহব-উল-আলম। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার কারণে এএসআই নাদীরা আক্তার ও কনস্টেবল আফরোজা  বেগমকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান আবু মারুফ হোসেন আরও জানান, রুহির ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় রুহির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের ভেতর থেকে রুহির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। মিস রুহি ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ড থানার হরিয়ারঘাট গ্রামের সেকেন্দার আলীর মেয়ে। পুলিশ বলছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে রুহি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রুহির সঙ্গে রংপুর নগরীর বাহারকাছনা রাম গোবিন্দমোড় এলাকার আকাশ নামে এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের মার্চ মাসে মেয়েটি ঝিনাইদহ থেকে আকাশের সঙ্গে দেখা করতে রংপুরে আসে। এসময় স্থানীয়রা তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নিয়ে যায়। পরে তাকে তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  করোনাকালে ব্যতিক্রমী বিয়ে!

এরপর গত শনিবার আবারও মেয়েটি আকাশের সঙ্গে দেখা করতে আসে। এক পর্যায়ে আকাশের মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকে মেয়েটি। শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ৯৯৯ এ খবর পেয়ে হারাগাছ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টাওে নিয়ে যায়। সেখানে থাকা অবস্থায় রবিবার দুপুরে গলায় ওড়না পেচিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করে রুহি।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন