শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনাক্তের ঢেউ বাড়লো

শনাক্তের ঢেউ বাড়লো

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১০ হাজার ৯০৬ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। শনিবার শনাক্ত হয় ৯ হাজার ৬১৪ জন। যার হার ছিল ২৮ দশমিক ০২ শতাংশ। গতকাল মৃত্যু হয় ১৪ জনের ও শনিবার ১৭ জনের মৃত্যু হয়।

এ পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ২২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৬ জনে। রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৮২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬১ জন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ হাজার ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩৪ হাজার ৮৫৪টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৬ জন পুরুষ, ৮ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৫ জন। চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে মারা গেছেন। এছাড়া খুলনা, বরিশাল ও রংপুর বিভাগে মারা গেছেন একজন করে।
এদিকে দেশে এখনও করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রাধান্য বেশি, তবে একটু একটু করে সে জায়গাটা ওমিক্রন দখল করে নিচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দেশে ডেল্টা এখনও প্রিডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু একটু একটু করে ওমিক্রন সে জায়গা দখল করে নিচ্ছে। ওমিক্রনে সংক্রমিতদের শতকরা ৭৩ শতাংশ মানুষ সর্দিতে আক্রান্ত, মাথা ব্যথা করছে ৬৮ শতাংশের, অবষণ্নতা বা ক্লান্তি অনুভব করছেন ৬৪ শতাংশ, হাঁচি দিচ্ছেন ৬০ শতাংশ, গলা ব্যথা ৬০ শতাংশ এবং কাশি দিচ্ছেন ৪৪ শতাংশ রোগী; এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। এর সঙ্গে মৌসুমি জ্বরের মিল রয়েছে। তাই যেকোনও পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

আরও পড়ুনঃ  চার মাস ধরে ১৪টি বেতার কেন্দ্রের সব অনুষ্ঠান বন্ধ

নাজমুল ইসলাম বলেন, রোগীর সংখ্যা যদি প্রতিদিন বাড়তে থাকে আর স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করে নিজের মতো করে চলতে থাকলে রোগী সংখ্যা আরও বাড়বে এবং সেটা সামগ্রিকভাবে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বাড়তি চাপ ফেলবে। বইমেলার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট, আমরা অনুরোধ করবো, মেলা শুরু হওয়ার আগেই তারা যেন টিকা নেওয়ার কাজ শেষ করেন। বইমেলায় যারা যাবেন, ষাটোর্ধ্ব যারা আছেন, ফ্রন্টলাইনার যারা রয়েছেন, তাদের বুস্টার ডোজ নিতে হবে।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন