ঢাকা | শুক্রবার
২৩শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আত্রাই রেললাইন সংলগ্ন বাইপাস সড়ক দেড়শ মিটারে দুর্ভোগ

আত্রাই রেললাইন সংলগ্ন বাইপাস সড়ক দেড়শ মিটারে দুর্ভোগ

উত্তর জনপদের মৎস্য ও শষ্যভান্ডার খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলা। এ উপজেলার আহসানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের রেললাইন সংলগ্ন উত্তর রেল বাইপাস সড়কটি মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় জনবহুল এ সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিনিয়িত ঘটছে দূর্ঘটনা।

আত্রাই সিএনজিস্ট্যান্ড থেকে রেলওয়ে প্লাটফরমের উত্তর দিয়ে একটি বাইপাস সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। এটি আত্রাই-পতিসর সড়কের সংযোগসড়ক। এ সংযোগ সড়কের মাত্র এক থেকে দেড়শ মিটার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। রেললাইন ঘেঁষে নির্মিত এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ট্রাক, ট্রাক্টর, সিএনজি, অটোরিক্সাসহ ভারি ও হালকা শতশত যানবাহন চলাচল করে। রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় ছোট বড় অনেক খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে আত্রাই মাছবাজারের অধিকাংশ মাছবাহী মিনি ট্রাক এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। এতে প্রতিনিয়ত মাছবাহী গাড়ির পানিতে রাস্তাটি একাকার হয়ে যায়। আর এসব পানি ওই গর্তে জমা হয়ে থাকায় একদিকে যেমন পথচারিরা দুর্ভোগের শিকার হন। তেমনি ভারি যানবাহন আটকে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। এতে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই এ পথে যানবাহর চলাচল করে।

এ বিষয়ে আত্রাই মাছ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আলহাজ শিপন প্রাং বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আমাদের এ বাজারে মাছ কেনা বেচা হয়। আর এসব মাছ প্রতিদিন অনেক মিনিট্রাক, ভুটভুটি ও অন্যান্য বাহনযোগে পরিবহন করা হয়। সম্প্রতি আত্রাই উত্তর বাইপাস সড়কটি যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় আমাদের চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছগুলো পরিবহন করেন।

এ বিষয়ে পথচারি শরিফুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম ও নুসরাত জাহান বলেন, বছরের পর বছর কোনো সংস্কার কিংবা মেরামত না করায় আজ এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এ একটি সড়ক আমাদের জীবন চাকাকে থেমে দিয়েছে। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না হলে সেই অঞ্চলের মানুষদের জীবনমান কখনোই বদলায় না। প্রতিদিনই গর্তে ছোট ছোট যানবাহন পড়ে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা আর নষ্ট হচ্ছে ভ্যান, অটোচার্জারসহ অন্যান্য যানবাহন। তাই এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের চাকা ঘোরানোর লক্ষ্যে সড়কটি দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ীত্বের পরিকল্পনা গ্রহণ করে দ্রুত নতুন করে নির্মাণের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এলজিইডির আত্রাই উপজেলা প্রকৌশলী জোনায়েত আলম বলেন, এ রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। পতিসরে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ি, সিংড়ার কালীগঞ্জ হয়ে বগুড়া যাতায়াত এবং মহাত্নাগান্ধীর ঐতিহাসিক গান্ধী আশ্রমে যাতায়াতের জন্য এ রাস্তাটি ব্যবহার করতে হয়। জনগুরুত্ব বিবেচনা করে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়েছে। এতোমধ্যে ঠিকাদারও নির্বাচন করা হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে এর সংস্কার কাজ শুরু হবে। তখন আর দুর্ভোগ থাকবে না।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন