শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্তের বেড়ায় লাল-সবুজ

সীমান্তের বেড়ায় লাল-সবুজ

আঁকা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশের পতাকার প্রতিচ্ছবি

দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দুটি দেশ বাংলাদেশ ও ভারত। এ দুই দেশের সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক, ভাষাগত, ঐতিহ্যগত ও সামাজিক গভীর মিল রয়েছে। উত্তরাঞ্চলের জেলা লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনটি চালু করা হয় ১৯৮৮ সালে। দুই দেশের সম্প্রীতির স্বাক্ষর বহন করে চলেছে স্টেশনটি। গত বছরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাসে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদারের উদ্যোগে পতাকার আদলে বাঁশের বেড়াটি তৈরি করা হয়েছে।

বুড়িমারি স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক অভিবাসন চৌকির (আইসিপি) শূন্যরেখায় জাতীয় পতাকার রং অনুসরণে (আদলে) বাঁশের বেড়ায় রং দিয়ে পতাকা আঁকা হয়েছে। বেঁড়ার দুই পাশে সবুজ ও মাঝে লাল রঙে আঁকা হয়। এটি করায় মনোরম দৃশ্য তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্থলবন্দর ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য এটি একটি নতুন চমক। তারা পতাকার আদলে বেড়া দেখে খুবই আনন্দিত। অনেকে এ বেড়ার সঙ্গে স্মৃতি হিসেবে ছবিও তুলছেন। এতে ফুটে উঠেছে বাংলাদেশ-ভারতের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

বুড়িমারী কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে বাঁশের বেড়া দেখে কিছুদিন পর চ্যাংড়াবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের কর্তৃপক্ষ ও ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শূন্যরেখায় তাদের দেশের জাতীয় পতাকার আদলে বাঁশের বেড়ায় রং করেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের পতাকার প্রতিচ্ছবি পাশাপাশি রয়েছে।

ভারত সীমান্তের শুরু থেকে সড়কের পূর্ব পার্শ্বে উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বি বাঁশের বাতাতে প্রায় ১০০ ফুট বেড়া জুড়ে শোভা পাচ্ছে দুই দেশের পতাকার প্রতিচ্ছবি। অপরদিকে, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় শেষ সীমান্তে লাগোয়া বাঁশের বেড়ায় ভারতের গেরুয়া, সাদা ও গাঢ় সবুজ রঙে সাজানো পতাকা। দুই দেশের পতাকায় মিশে থাকার মনোরম এ দৃশ্য সীমান্ত পথ ধরে চলাচলে পণ্যপরিবহনে নিযুক্ত চালক, ব্যবসায়ী, পর্যটক, শিক্ষার্থী- সবাইকে মনে করিয়ে দেয় এ যেন দুই দেশের বন্ধুত্বের বন্ধন। ভারত, ভুটান, নেপালের পর্যটক, শিক্ষার্থী, রোগী যাতায়াতের সময় দুই দেশের লাগোয়া পতাকার আঁকা দেখেন, কেউ বা দূর থেকে ছবি তোলেন।

আরও পড়ুনঃ  আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকার ছিল না : প্রধানমন্ত্রী

এ বিষয়ে বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশন কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) কেফায়েত উল্যাহ মজুমদার বলেন, তিরিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে- এ বিষয়টি নতুন প্রজন্মকে জানানোর জন্য পতাকার আদলে বাঁশের বেড়ায় রং দিয়ে আঁকা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ অনেক সূচকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতকে টপকে সামনে এগিয়েছে। কাস্টমস হলো একটি দেশের উইন্ডো বা জানালা। যেকোনো দেশের নাগরিক কাস্টমসের মাধ্যমে একটি দেশ সম্পর্কে ধারণা পেয়ে থাকেন, তা ছাড়া ভারত আমাদের প্রতিবেশী ও ভালো বন্ধুরাষ্ট্র। সে বিষয়গুলো মাথায় রেখেই কাস্টমস যাত্রীসেবা কক্ষ সংলগ্ন ওই করিডরটি আমাদের জাতীয় পতাকার রঙে রঙিন করা হয়েছে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন