রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজধানীর আক্রান্তদের ৬৯ ভাগের শরীরে ওমিক্রন- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, রাজধানীতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্তদের ৬৯ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রনের উপস্থিতি রয়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

সচিবালয়ে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

করোনার নতুন ঢেউ মোকাবিলায় টিকার বুস্টার ডোজ দেয়ার বয়সসীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেছেন, যাদের বয়স ৫০ বছরের মধ্যে তাদের সবাইকে বুস্টার ডোজ দেয়া হবে।করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার বুস্টার ডোজের বয়সসীমা কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, এখন থেকে ৫০ বছর বয়সীরাও বুস্টার ডোজ পাবেন।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে অনুমোদন দিয়েছেন। এখন থেকে ৫০ বছর বয়স থেকেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। আপনারা জানেন আমাদের টিকা কর্মসূচি চলমান আছে, আমরা বুস্টার ডোজ দিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত বুস্টার ডোজ খুব বেশি অগ্রগতি লাভ করেনি। এ পর্যন্ত আমরা সাত লাখের মতো মানুষকে টিকার বুস্টার ডোজ দিতে পেরেছি। এখন যদি বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর বয়সীদের বুস্টার ডোজ দেই, তাহলে প্রায় ৭০ লাখ মানুষকে এই বুস্টার ডোজ দিতে হবে। এতে আমাদের জন্য কোনো অসুবিধা নেই।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এক কোটি সাত লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দিয়েছি। এখনও প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে। আমাদের টিকার কোনো ঘাটতি হবে না।

এর আগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছিলেন, বুস্টার ডোজের জন্য বয়সসীমা ৬০ বছর থেকে কমানোর কথা ভাবছেন তারা। এমনকি ভবিষ্যতে টিকাগ্রহীতারা সুবিধাজনক যেকোনো কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন।

আরও পড়ুনঃ  সন্ধ্যায় নাব্যতা সংকট

তিনি জানান, এসএমএস না পেলেও যেকোনো বয়সের রোগীরা করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে, বুস্টার ডোজ নেওয়ার আগে ওই রোগীকে তার অসুস্থতা বিষয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যগত নথি দেখাতে হবে।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলী নূরসহ আরও অনেকে।

এদিকে দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৭৬ জন। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশে। করোনায় এ পর্যন্ত দেশে ২৮ হাজার ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে; শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৭ জনে।  গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪২৭ জন, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৩২০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩২ হাজার ৪৩১ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৩১ হাজার ৯৮০টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ৬ জন নারী। ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৭ জন। চট্টগ্রামে ২ ও বরিশালে ১ জন মারা গেছেন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

আরও পড়ুনঃ  কাতারের আমিরের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন