শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে সহযোগিতা করবে ভারত- তাজুল ইসলাম

পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে সহযোগিতা করবে ভারত- তাজুল ইসলাম

ভারত সারাদেশের উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ে কিচেন মার্কেটের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শাক-সবজি, মাছ-মাংসসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে দেশটির সরকার প্রতিবেশী বন্ধুদেশ হিসেবে আমাদের উন্নয়ন কাজে অংশ নিতে চায়। তারা এ বিষয়ে আমাদের প্রস্তাব দিলে আমরা উদ্যোগ নেবো বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি।

রবিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

এই মার্কেট খুব একটা ব্যয় বহুল না, এট আমরা নিজেরাই তৈরি করতে পারি এমন প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, হ্যাঁ এ মার্কেট তৈরি করা খুব ব্যয়বহুল না। আমরা নিজেদের উদ্যোগেও করছি। তারা যখন বন্ধুত্বের নির্দশন স্বরূপ কিছু অবদান রাখতে চায়। সেখানে আমার মনে হয় না কোন দোষের কিছু হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সাথে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের সাথে ভালো সম্পর্ক আছে। এই সম্পর্কের কারণে প্রতিদিনই আমাদের কাছে কিছু বিদেশি সংস্থা ও উন্নয়নসহযোগীরা আসেন। তারা বিভিন্ন সময় আমাদের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু আমাদের ও দেশের জন্য যেটা কল্যাণকর ও উপকারী সেগুলো আমরা গ্রহণ করি।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে যা আন্তর্জাতিক মহল সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের ভোট গোটা জাতি ও আন্তর্জাতিক মহল প্রত্যক্ষ করেছে। মিডিয়া সরাসরি প্রত্যক্ষ করেছে। ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট হওয়ার পরও বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বিজয় অর্জন করেছে। ডিপ্লোমেটদের কাছে এই ম্যাসেজটা গেছে যে বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জে ইভিএমে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হয়েছে এটা ডিপ্লোমেটরা নিজেদের মধ্যে শেয়ার করেছেন বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  ‘নিয়োগবিধি-২০২০’ নিয়ে রেল শ্রমিকদের বিক্ষোভ

তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই টেকনিক্যাল কিছু সমস্যা আছে। আমেরিকায় ও ভারতের ইলেকশনেও কিছু কিছু যান্ত্রিক গোলযোগ হয়েছে। সময়ের ব্যবধানে সমস্যা সমাধান হবে। এখন সেজন্য ইচ্ছা করলেই সরকার দেশে একসাথে ইভিএম আরম্ভ করতে পারবে না। এটা এডোপটোশনের জন্য সময় লাগে। টেকনোলজি পরিচালনা এবং ব্যবহার করার জন্য মানুষকে উপযোগী করে তুলতে হবে।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন