শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাপমাত্রা কমবে তিন ডিগ্রি

তাপমাত্রা কমবে তিন ডিগ্রি

মাঘের শীতে বাঘ কাঁপে প্রবাদটি এ সপ্তাহে আবারও প্রমাণ মিলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির মতে, দেশে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যেতে পারে। এতে শীতের তীব্রতা বেশ কিছুটা বেড়ে যাবে।

গতকাল শনিবার দেশের শুধু পঞ্চগড়ে শৈত্যপ্রবাহ বইছে, এটি আরও এলাকায় ছড়াবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও নোয়াখালীর হাতিয়ায়; ২ মিলিমিটার। এছাড়া ফরিদপুর, মাদারীপুর, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, শ্রীমঙ্গল, গোপালগঞ্জ, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সাতক্ষীরা, যশোর, পটুয়াখালী ও ভোলায় সামান্য বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৯, যা গত বৃহস্পতিবার ছিল সৈয়দপুরে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ হিসাবে তাপমাত্রা কমেছে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে সেদিন ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ২, আজ তা অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে এরপরও ‘তীব্রতা বেশি’ বলার কারণ হিসেবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া।
একইভাবে ময়মনসিংহে বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার কিছুটা কমে ১৪ দশমিক ৪ ডিগ্রি, চট্টগ্রামে ছিল ১৮ দশমিক ২ ডিগ্রি, গতকাল ১ ডিগ্রি কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৮, সিলেটে ছিল ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি, ২ ডিগ্রি কমে হয়েছে ১৫ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ছিল ১৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি, কিছুটা কমে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী পালন

একই সময়ে রংপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার রেকর্ড হয়েছে ১৪ দশমিক ১ ডিগ্রি, খুলনায় ছিল ১৭, ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বরিশালে ছিল ১৬ ডিগ্রি, আজ ২ ডিগ্রি কমে ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও আশেপাশের এলাকায় বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

পূর্বাভাসে বলা হয়, আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধাণত শুষ্ক থাকতে পারে। তবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পরে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন