শীত আসে। সেই সঙ্গে হাজির হয় পিঠা উৎসব। এ সময় টাটকা চালে তৈরি করা হয় বাহারি পিঠা পুলি। পিঠার সেই মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে মূলত ঋতুর প্রথম ভাগ থেকে। গোলায় ধান তোলার পর গ্রাম ভাসে আনন্দের বন্যায়। ধান কাটা ও গোলায় ভরার এ উৎসব নতুন এক খবর দেয় জনপদে। সে বার্তায় থাকে পিঠার আমন্ত্রণ। শীতের সকালে খেজুর রসের স্বাদই আলাদা। সে রসে ভেজানো চিতই পিঠার ঘ্রাণ টানে পাড়ার মানুষকে। বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে এলাকায় নতুন করে পরিচয় করানোর জন্য পৌষসংক্রান্তি ও পিঠা উৎসবের আয়োজন।
নারকেল পিঠা, ঝিনুক পিঠা, পাটিসাপটা, গোলাপ ফুল, পাতাপিঠা, নকশী পিঠা, নুনভড়া, দুধ পুলি, ভাপা পিঠা, ঝাল পিঠা, ভাঁপা পিঠা, দুধ চিতুই পিঠাসহ হরেক রকমের পিঠার সম্ভার ছিল এ উৎসবে। বিভিন্ন অতিথিদের সমাগম ভরপুর ছিল এ পিঠা উৎসব। উই টিচ সংগঠনের উদ্যোগে এমনই এক পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম ইউনিয়নের নাছিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। গত শুক্রবার সকালে স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ১০টি স্টলে এ উৎসবের আয়োজন করে।
পিঠা উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির, শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তাক আহাম্মদ, এডিশনাল এসপি বিল্লাল হোসেন, শ্যামগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুজ্জামান খান মাসুমসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।