- ট্রলির ওভারলোডিংয়ে রাস্তার ক্ষতি
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে অবৈধভাবে ফসলিজমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। অপরদিকে মাটি ভর্তি অসংখ্য ট্রলির ওভারলোডিংয়ে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণসড়ক। উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নের পল্টন বাড়ির সামান্য উত্তর দিকে আড়িয়াল বিলের ওপর বয়ে যাওয়া মরিচ বাড়ির রাস্তার পাশে ফসলিজমি উর্বর মাটি কেনা-বেচা করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আড়িয়াল বিল এলাকার শ্যামসিদ্ধি গ্রামের জহিরের বাড়ি থেকে মরিচ বাড়ির রাস্তার পূর্ব পাশে শ্রীনগর সদর ইউনিয়ন মৌজায় স্কেভেটর বা ভেকু মেশিন দিয়ে কৃষিজমির মাটি কেটে ট্রলিতে ভরা হচ্ছে। মাটিভর্তি এসব নিষিদ্ধ ট্রলির ওভারলোডিংয়ে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়কগুলো বেহাল হচ্ছে।
ট্রলি চালকরা জানান, লৌহজং থেকে ট্রলি নিয়ে মাটি টানার কাজে ভাড়ায় আসছেন। প্রতিদিন ট্রলিপ্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ভাড়া পাচ্ছেন। সিরাজুল নামে এক শ্রমিক বলেন, শ্যামসিদ্ধি গ্রামের মাটি ব্যাবসায়ী আব্দুল মালেক ও তার ভাই বাছের মেম্বারের কাজ করছেন। একাজে তিনি দৈনিক মজুরী পান। তিনি ১০ থেকে ১২ দিন ধরে এখানে মাটি কাটার কাজ করছেন। আব্দুল মালেকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি জমির মাটি কিনেছি। ফসলিজমির মাটি কেটে বিক্রি করা ও নিষিদ্ধ ট্রলি দিয়ে গ্রামীণ রাস্তাঘাটের ক্ষতিসাধণ করা কতটা যুক্তিসংঘত এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তোর দিতে পারেননি। সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল বাছেরের কাছে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, রাস্তা তো নষ্ট হয় নাই। মাটি কিনেছি তাই বিক্রি করছি।
এ ব্যাপারে শ্রীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজীব আহমেদ জানান, মাটি কেটে রাস্তাঘাট নষ্ট করা যাবে না। খোঁজ খবর নিতে দ্রুত নায়েবকে পাঠাচ্ছি।
আনন্দবাজার/এম.আর