শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনার ‘ফুলস্টপ’ ওমিক্রন

কেউ যদি একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হন, তাহলে তার শরীরে এ্যান্টিবডি থেকে যেতে পারে সারাজীবন। এতে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকবে না। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি একবার ওমিক্রণে আক্রান্ত হলে তার আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না সারাজীবন।

কেউ যদি একবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হন, তাহলে তার শরীরে এ্যান্টিবডি থেকে যেতে পারে সারাজীবন। এতে তার শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ার কোনো আশঙ্কা থাকবে না। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি একবার ওমিক্রণে আক্রান্ত হলে তার আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না সারাজীবন।

এমন আশার বাণী শুনিয়েছেন ভারতীয় বিজ্ঞানী জয়প্রকাশ মুলিয়িল। যিনি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সায়েন্টিফিক এ্যাডভাইজরি কমিটি অব দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির চেয়ারপারসন।

ভারতীয় এই বিজ্ঞানী বলছেন, ওমিক্রন অতিদ্রুত বাড়ছে। একে আটকানোর উপায় নেই। সবাই আক্রান্ত হবেন ওমিক্রনে। এমনকি বুস্টার ডোজ দিয়েও একে আটকানো যাবে না। তবে তার মতে, ওমিক্রনের শক্তি ডেল্টার তুলনায় অনেকটাই কমে এসেছে। এখন করোনা নিয়ে আর বিশেষ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার মতো করেই করোনা থেকে যাবে। যাদের শরীরে এই জীবাণুটি সংক্রমণ ঘটাবে, তাদের অনেকে জানতেও পারবে না।

জয়প্রকাশ মুলিয়িল আরো বলছেন, ওমিক্রনের এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণেই অন্য দেশের মতো করোনা ভারতের ওপর তেমন মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারেনি। কারণ ভ্যাকসিন আসার আগেই দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষের করোনা হয়ে গিয়েছিল। তাই তাদের শরীরে প্রাকৃতিক উপায়েই রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হয়েছে।

এক সাক্ষাতকারে বিজ্ঞানী জয়প্রকাশ বলেন, টিকার প্রথম যে ডোজটি দেয়া হয়েছিল, সেটিই আসলে এসব মানুষের জন্য ছিল বুস্টার ডোজ। কারণ এর আগে থেকেই সেসব মানুষের শরীরে করোনার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা ছিল।

এদিকে, ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩১ কোটি ৪৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬১২ জন। আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৫ লাখ ২৩ হাজার ৭২৮ জনের। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন ২৬ কোটি ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৬৯৮ জন।

আরও পড়ুনঃ  'বুস্টার ডোজ ওমিক্রন থামাতে পারবে না'

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন