শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক হাজার বাক্সে ১০ টন মধু

এক হাজার বাক্সে ১০ টন মধু

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সরিষা ফুলের অপরুপ সৌন্দর্যে বসেছে মৌ চাষিদের আসর। সরিষা ফুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে মৌ চাষিরা। বসেছে প্রায় ১ হাজার মধু সংগ্রহের বাক্স। এসব বাক্স থেকে আসবে প্রায় ১০ টন মধু।

পাট, সরিষা আর গরুর গাড়ী, এই নিয়ে সরিষাবাড়ী। জামালপুরের অন্যতম ও শিল্পশহর সরিষাবাড়ী উপজেলা। পাট, সরিষা ও গরু গাড়ির জন্য এক সময় বেশ নামডাক ছিল সরিষাবাড়ির। নানা কারণে পাটকলগুলোর অস্তিত্ববিলীন হওয়ায় পাট আবাদে ভাটা আর গরুগাড়ির প্রচলন কমে গেছে। তবে সরিষা আবাদের ঐতিহ্য এখনো রয়েছে। প্রাচীন তথ্যমতে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে সরিষার আবাদ ভালো হওয়ায় বৃটিশ আমলে উপজেলাটির নামকরণ হয় সরিষাবাড়ি। বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে হলুদের সমারোহ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

উপজেলার চরাঞ্চলগুলো সরিষা আবাদের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় দিগন্তজুড়ে এখন সরিষা ফুলের সমারোহ। চারদিকে সরিষা ফুলের গন্ধে মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। আর এ সরিষা ফুলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মৌ চাষিদের চলছে মধু সংগ্রহের কাজ। বসেছে প্রায় এক হাজার মধু সংগ্রহের বাক্স। প্রতিটি বক্সে রয়েছে ১০ থেকে ১২টি করে মৌ চাকের ফ্রেম। সংগ্রহিত হবে প্রায় ১০ টন মধু। আর সরিষা ফুলের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন আসছে দর্শনার্থীরা।

মধু চাষি জামাল মিয়া বলেন, আমার এখানে ৩৫০ টি মধু সংগ্রহের বাক্স আছে। আমরা ১ সপ্তাহ পর পর বাক্সগুলো থেকে মধু সংগ্রহ করি। প্রতিটি বাক্সে রয়েছে ১০ থেকে ১২টি করে মৌ চাকের ফ্রেম। ফুল থাকাকালীন সময় পর্যন্ত সিজনে প্রায় ২০ থেকে ২২ মণ মধু পাবো বলে আশা করি। এসব মধু বিভিন্ন কোম্পানীর কাছে বিক্রি করি।

আরও পড়ুনঃ  বিশ্বে বেশি বজ্রপাত সুনামগঞ্জে

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন আর একটি পৌরসভা রয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নেই সরিষার আবাদ হয়। চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। বসেছে প্রায় এক হাজারেরও বেশি মধু সংগ্রহের বাক্স। এ থেকে আসবে প্রায় ১০ মেট্রিক টন মধু।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন