শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণদের আগ্রহে ‘আগুন পান’

তরুণদের আগ্রহে ‘আগুন পান’

মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় বহুমুখী পদ্মা সেতু দেখতে আসা দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে আগুন পান। বাহারী রংয়ের মসলাযুক্ত এ পান মানুষের নজর কাড়ছে। প্রায় ৭০ পদের উপকরণ দিয়ে তৈরীকৃত মিষ্টিযুক্ত আগুন পানের স্বাদ নিতে তরুণ-তরুণীরা বেশী আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মুখে দেওয়ার আগে পানে আগুন জ্বেলে দেওয়া হয় বলে এর নামকরণ হয়েছে আগুন পান। প্রতিটি আগুন পান বিক্রি করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে। পদ্মা সেতু এলাকায় সকাল-বিকাল মুখরোচক এসব পান বিক্রি করে আয়ের মাধ্যম করে নিয়েছেন একটি পরিবার। ২টি ভাসমান দোকান থেকে দৈনিক পান বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা।

ইংরেজী নতুন বছর উপলক্ষে মাওয়া ঘাট এলাকায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেখতে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো মানুষের ভিড় করে। পদ্ম সেতুকে কেন্দ্র করে মাওয়া এলাকার মেদেনী মন্ডলের মাছের আড়ত সংলগ্ন পদ্মা নদীর তীরে যেন গড়ে উঠেছে মানুষের বিনোদণের মাধ্যম। বিভিন্ন খাবার দোকান, ফুল ও খেলনার পসরা সাজিয়ে বসছেন দোকানীরা। এসবের পাশাপাশি আগুন পানের দোকানের দিকে দৃষ্টি রাখছেন ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা। আগুন পানের স্বাদ নিতে ভিড় করছেন তারা। লক্ষ্য করা যায়, ভালোবাসা পান ৩০০ টাকা, বউ পান ২০০ টাকা, জামাই-বৌ পান ৪০০ টাকা ও সাধারণ মিষ্টি পান বিক্রি করা হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা করে।

পান বিক্রেতা জানান, তার নাম আল-আমিন (২৬)। সে লৌহজংয়ের দক্ষিণ মেদেনী মন্ডলের বাসিন্দা। প্রায় ১ মাস ধরে এসব পান বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। প্রতিটি আগুন পান বিক্রি করছেন ৫০ টাকা। প্রতিদিন পান বিক্রি তার ভালই আয় হচ্ছে। এ সময় আল-আমিনের বড় ভাই মৎস্য ব্যবসায়ী আশরাফুল (৩০) বলেন, তার পিতা হযরত আলী ঢাকায় এক সময় পান বিক্রি করেন। তার পিতা এখন মাওয়া পদ্মা সেতু এলাকায় আরেকটি পানের দোকান দিয়েছেন। দুই দোকানের পান বিক্রির আয়েই সংসার চলছে তাদের।

আরও পড়ুনঃ  ঘোড়াঘাটে কৃষি আবহওয়া বিষয়ে কৃষাণিদের প্রশিক্ষণ

দৃশ্যমান পদ্মা সেতু দেখতে আসা বেশ কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, এখানকার আগুন পান তাদের নজর কাড়ছে। তাই মিষ্টিযুক্ত আগুন পানের স্বাদ নিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন তারা।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন