ঢাকা | শুক্রবার
১৮ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ,
৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ড্রাম-কাঠে ভাসমান সেতু

ড্রাম-কাঠে ভাসমান সেতু

পারাপারে ভয়-ভোগান্তি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভাসমান সেতুতে পারাপার হচ্ছে ৫ গ্রামের অন্তত ১০ হাজার মানুষ। আর এ সেতু পাপাপারে স্কুলগামী শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা পড়ছে চরম ভোগান্তিতে। উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা খালের উপর কৃষক ও স্থানীয়দের উদ্যোগে তৈরী করা হয় ভাসমান সেতুটি। পানির উপরে দেয়া হয়েছে প্লাষ্টিকের ড্রাম আর উপরে কাঠের পাটাতন। দীর্ঘদিন পারাপারে বর্তমানে এ সেতুটি অনেকটা নড়বড়ে হয়ে গেছে। কোনো উপায়ন্তর না পেয়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে এ ভাসমান সেতু দিয়ে পার হতে হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে প্রায়ই ঘটছে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা।

নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা ও কুমিরমারা এলাকার মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে পাখিমারা খাল। প্রায় ৫ বছর আগে এ খালের উপর পুরাতন সেতুর মালামাল দিয়ে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নতুন সেতু। ২০২০ সালের ৬ আগষ্ট রাতে হঠাৎ সেতুটি খালের মধ্যে ভেঙে পড়ে। পরে ওই বছরের অক্টোবর মাসে স্থানীয়রা চাদাঁ তুলে ২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন ১১৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে ভাসমান সেতু। সেতুটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে মালামাল বহন তো দূরের কথা দুইজন মানুষ একসঙ্গে হেটে যাওয়া কষ্টকর। বর্তমানে এ ভাসমান সেতুটিও নড়বড়ে হয়ে গেছে। অনেক স্থানে কাঠ ভেঙে গেছে, বিভিন্ন জায়গা দিয়ে ড্রাম ফুটো হয়ে পানি প্রবেশ করছে। বেশিরভাগ স্থানই দেবে গেছে। এতে এ সেতু পারাপার হতে গিয়ে প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা।

গর্ভবতী মহিলাদের আনা-নেয়ার জন্য একমাত্র বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকা। এছাড়া কৃষি পল্লী খ্যাত ওই ৫ গ্রামের কৃষিপণ্য বহন করতে হচ্ছে মাথায় করে। তাই এ ভোগান্তির অবসানের জন্য একটি নতুন সেতু নির্মানের দাবি স্থানীয় কৃষকসহ ওই এলাকার সাধারণ মানুষের।

কুমিরমারা গ্রামের কৃষক সুলতান গাজী বলেন, কুমিরমারা গ্রামের কৃষকরা প্রচুর আগাম রবি শষ্যসহ পরিমানে ধান আবাদ করে থাকে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এসব সবজি পাশ্ববর্তী বিভিন্ন জেলায় বিক্রির জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু সেতুর অভাবে এসব মালামাল পরিবহন করা ব্যয় বহুল ও কষ্টকর। কৃষক জালাল খান বলেন, একটি সেতুর অভাবে আমাদের সবজি খাতে বছরে প্রচুর টাকা লোকসান হচ্ছে। বর্তমানে এ সেতু দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হয়েছে।

কলাপাড়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহর আলী জানান, মূল সেতুটি ভেঙে যাওয়ার পরই উর্ধ্বতন কৃর্তপক্ষকে অবহিত করা হয় এবং তাদের নির্দেশে নতুন গার্ডার ব্রিজ নির্মানের লক্ষে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.আর

সংবাদটি শেয়ার করুন