শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেড় কোটি

পরিবহন খাতে অতিরিক্ত ব্যয় দেড় কোটি
  • মহাসড়ক উন্নয়নে ধীরগতি
  • জনদুর্ভোগ ভোগান্তি বাড়ছে

ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে প্রতি মিনিটে ৭টি যাত্রীবাহী গাড়ি বিভিন্ন সড়ক থেকে গাজীপুর হয়ে ঢাকা অভিমুখে চলাচল করে। সড়কটি দিয়ে প্রতিঘণ্টায় যাতায়াত করছে ৪২০টি গাড়ি। ২৪ ঘণ্টায় গড়ে চলাচল করছে ১০ হাজার ৮০ গাড়ি। সড়কে যানজট, ভাঙাচুরা রাস্তার কারণে প্রতিটি গাড়িতে স্বাভাবিকের চেয়ে গড়ে ২০ লিটারের বেশি তেল প্রয়োজন হয়। এতে প্রতিদিন অতিরিক্ত দুই লাখ ১ হাজার ৬০০ লিটার জ্বালানি তেল খরচ হচ্ছে। যার জন্য অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে ১ কোটি ৬১ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। নিজস্ব জরিপ থেকে প্রাপ্ততথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রোববার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ব্যবসায়ী ও পরিবহণ নেতারা।

গাজীপুরের সালনা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্লথ গতির উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিরসন অবিলম্বে দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণের দাবিতে ময়মনসিংহ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও জেলা মোটর মালিক সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনের সড়ক হওয়ায় ময়মনসিংহ থেকে গাজীপুর যাতায়াতে প্রায় এক ঘন্টা থেকে সোয়া ঘন্টা সময় লাগলেও গাজীপুর থেকে টঙ্গী পর্যন্ত প্রায় ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় অপচয় হয়। যন্ত্রাংশ, টায়ারসহ নতুন-নতুন গাড়ির কর্মক্ষমতাও ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে মানুষের মহামূল্যবান কর্মঘন্টা। পাশাপাশি যন্ত্রাংশ মেরামতসহ বিভিন্ন অযাচিত ব্যয় ধরলে এ হিসাব কতগুণ গিয়ে দাঁড়াবে তা সহজেই অনুমেয়। দিন দিন পরিবহন শিল্পের এ ক্ষতির পরিমান বেড়ে যেতে থাকলে মালিকগণ, তাদের গাড়ির কিস্তিসহ মেরামত যন্ত্রাংশ, টায়ার কোনটাই পরিচালনা করতে পারবেনা। ঢাকা-গাজীপুর রাস্তার এ বেহাল অবস্থার কারণে আমদানি-রফতানিসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কাঁচামাল বহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে শিল্পপ্রতিষ্ঠানের।

আরও পড়ুনঃ  ১২ কেজি এলপিজির দাম বেড়ে ১২৯৭ টাকা

পরিবহন শিল্পসহ সকল ব্যবসায়িক মহলকে রক্ষা করার লক্ষ্যে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঢাকা-গাজীপুর সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন না ঘটালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের (ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, টাঙ্গাইল) পরিবহন যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ রাখা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় থাকবে না। তাই সড়কটি আগামী পনের দিনের মধ্যে সংস্কার করে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ যেন শান্তিতে যাতায়াত করেতে পারে সেই লক্ষ্যে সরকার ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।

সম্মেলনে সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন মন্তা। এ সময় ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সহ-সভাপতি আমিনুল হক শামীম, জেলা মোটর মালিক সমিতির মহাসচিব মাহবুবুর রহমানসহ ব্যবসায়ী ও পরিবহন বিভাগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন