শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জরাজীর্ণ বেইলি সেতু, দুর্ঘটনার শঙ্কা

জরাজীর্ণ বেইলি সেতু, দুর্ঘটনার শঙ্কা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ ফানাই বেইলি সেতু দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক যানবাহন চলাচলা করছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুটির উপর দিয়ে উপজেলার কর্মধা, পৃথিমপাশা, টিলাগাঁও, হাজীপুর ও শরীফপুর ইউনিয়নের প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ উপজেলা শহরে যাতায়াত করে।

স্থানীয়রা জানায়, গেল বছরের ১৮ মার্চ ও ২ জুলাই সেতুটির ট্র্যানজাম ভেঙে গিয়ে এক দিনেরও বেশি সময় রবিরবাজার থেকে কুলাউড়া সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকে। বার বার সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় উল্টোপথে যাতায়াতে হাজারো যাত্রীর ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।

সেতুটির পাটাতন খুলে যাওয়ায় ওয়েল্ডিং করে সংযোগ দেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ। তবে সম্প্রতি সেতুর পাটাতনের সংযোগ বিছিন্ন হওয়ায় সেতুর উপর যানবাহন উঠলেই যে কোনো একপাশ উপরে ওঠে যায়। এতে যে কোনো সময় পিছলে যানবাহন সেতুর নিচে নদীতে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমানে সেতুটির ৪ টি প্লেটে ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি ফাঁকা দেখা যাচ্ছে। এতে মোটরসাইকেল আরোহীরা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন। প্লেটের ফাঁকা অংশে সাইকেলের চাকা আটকে দূর্ঘটনায় প্রাণ হারানোর আশংকা রয়েছে। তাছাড়া ভারি যানবাহন নিয়মিত এ সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো সময় দূর্ঘটনাসহ সড়ক যোগাযোগ আবারও বিছিন্ন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মোটরসাইকেল আরোহী রুহিন আহমদ জানান, খুব খেয়াল করে সাইকেল চালাতে হয়। অসাবধানতাবশত যে কোনো সময় বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে রাতের বেলায় দূর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা খুবই জরুরি।

আরও পড়ুনঃ  ভোগান্তি ঘিরে বাণিজ্য

সড়ক দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারী সুলতান আহমদ জানান, বার বার সেতুটি ভেঙে যায়। সংস্কার করা হলেও আবারো যেই সেই অবস্থা হয়। নতুন সেতু নির্মাণ করে এ অঞ্চলের মানুষের নিরাপদ নিশ্চিত করা সময়ের দাবি। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কুলাউড়া উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী সুভাষ পুরকায়স্থ জানান, সেতুটির জন্য গেল সপ্তাহে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে কাজ শুরু করবো।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন