শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

আগামীকাল থেকে মাসব্যাপী “২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২২” শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার, পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি।

আগামীকাল থেকে মাসব্যাপী “২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২২” শুরু হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সকাল ১০টায় বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার, পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অবশেষে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতি অতিক্রম করে বাণিজ্যমেলা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে।

আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ পূর্বাচলে এক্সিবিশন সেন্টারে উপস্থিত থাকবেন। নতুন এক্সিবিশন সেন্টারে প্রথম বারের মতো এ মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের বাণিজ্যমেলায় ১১টি দেশের ২২৭টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহণ করছে। এ বাণিজ্যমেলার পাশাপাশি বছরব্যাপী বিভিন্ন ধরনের মেলা ও প্রদর্শণীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান এখানে অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়িত হলো এবং দেশের বাণিজ্য সেক্টর খুজে পেলো স্থায়ী ঠিকানা।
বাণিজ্যমন্ত্রী শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত “২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা-২০২২” আয়োজন উপলক্ষে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টাওে হল রুমে এক প্রেস ব্রিফিং এ এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মেলায় যাতায়তের সুবিধার জন্য রাস্তা চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। বিআরটিসি’র ৩০টি বাস কুড়িল বিশ্বরোড থেকে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত মেলা চলাকালীন বিশেষ ব্যবস্থায় যাতায়াত করবে, ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বিআরটিসির নির্ধারিত রুটে বাসও চলবে। গতবছরের মতো মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা, অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ২০ টাকা এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ফ্রি। এক্সিবিশন সেন্টারের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২২০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  বাগেরহাটে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত

উল্লেখ্য, মেলা ১ হতে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চল করবে। ছুটির দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলবে। এবারের বাণিজ্যমেলায় বিভিন্ন কেটাগরির ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১৬২টি স্টল এবং ১৫টি খাবার দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বরাবরের মতো এবারও মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিববর্ষ, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনারবাংলা বিনির্মাণের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এক্সিবিশন সেন্টারের ১,৫৫,০০০ বর্গফুট আয়তনের ২টি হলে সকল স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ বিবেচনায় নিয়ে মেলা চলাকালীন স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে।

প্রেস ব্রিফিংএ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভিসি এ এইচ এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমানসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন