শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেরপুরে অভিযানে বিপুল পরিমাণ সার উদ্ধার

শেরপুরে অভিযানে বিপুল পরিমাণ সার উদ্ধার

বগুড়ার শেরপুরে এক হাজার ৭৩ বস্তা অবৈধ সার উদ্ধার করেছে প্রশাসন। গত সোমবার সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের আকন্দ ট্রেডার্সের গোডাউন থেকে ৬৩৩ বস্তা ডিএপি ও ৪৪০ বস্তা এমওপি সার উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সোমবার ১১টার দিকে র‌্যাব-১২ এর একটি টিম ভবানীপুর বাজারে উপস্থিত হয়ে আকন্দ ট্রেডার্সে সার মজুদের ডকুমেন্টস দেখতে চায়। এ সময় দোকানের মালিক কলিম উদ্দিন আকন্দ তা দেখাতে ব্যর্থ হন। এতে র‌্যাবের টিম সারগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এর পরে ওই দোকানের তিনটি গোডাউন থেকে উল্লেখিত পরিমাণে সারের বস্তা উদ্ধার করা হয়। এ সময় শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আটককৃত সারগুলো জব্দ করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিলে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। কারণ ইতিপূর্বে অবৈধ সার সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে কৃষি কর্মকর্তা সারগুলো বিক্রর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পরবর্তিতে সন্ধ্যায় শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম ঘটনাস্থালে উপস্থিত হয়ে আটককৃত সারগুলো তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটির মাধ্যমে সরকার নির্ধারিত মূল্যে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অভিযানের বিষয়ে আমার কাছে সঠিক কোনো তথ্য ছিল না। র‌্যাব-১২ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেছে। আমি তাদেরকে সহযোগিতা করেছি। তবে ওই খুচরার বিক্রেতার অবৈধ মজুদ সম্পর্কে অবগত হয়ে আগে থেকেই বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ  রাজশাহীতে কঠোর অবস্থানে প্রসাশন, প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই জরিমানা

র‌্যাবের অভিযান সম্পর্কে আগে থেকে অবগত ছিলেন না দাবি করেন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি সকাল থেকেই প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত ছিলাম। বিকেলে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আটকৃত সার জব্দের প্রক্রিয়া শুরু হলে স্থানীয় কৃষকের বাধার মুখে পড়ি। কৃষকদের আশংকা সার জব্দ করলে তার আগামী বোরো মৌসুমে ব্যাপক সংকটে পড়বেন। তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে সারগুলো বিক্রেতার কাছেই রাখা হয়েছে। বিক্রেতা যেন সেগুলো স্থানীয় কৃষকদের কাছে ন্যায্য দামে বিক্রি করে তা তদারকি করার জন্য ইউপি চেয়াম্যান, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সমন্বয়ে তিন সদস্যের একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অবৈধভাবে সার মজুদকারির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার প্রসঙ্গে ইউএনও এ প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় কৃষকেদের কথা চিন্তা করেই আমার সুষ্ঠুভাবে সার বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। তবে ভবিষ্যতে আর কেউ যেন এধরণের কাজ করতে না পারে এ বিষয়ে আমরা আরও তৎপর হবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন