রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভৈরবে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ

ভৈরবে সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে কালী নদীতে একটি সেতুর অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন আশপাশের অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের মানুষের নদী পারাপারের একমাত্র ভরসাই নৌকা। কালী নদীতে সেতু না থাকায় কিশোরগঞ্জ সদর, ভৈরব, কুলিয়ারচর ও বাজিতপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দীঘপথ ঘুরে গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশি সময় ও অর্থ খরচ করতে হয় তাদের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, সাদেকপুর, মোটুপী, মেন্দিপুর গ্রামসহ পাশের শ্রীনগর ইউনিয়নের তেয়ারিচর, ভবানীপুর, বাউশমারা, জাফরনগর এবং কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের কাসকাওলা, মিরারচর ও গজারিয়া ইউনিয়নের বাশঁগাড়ি, মানিকদি গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা। ঘাট পারাপারে স্থানীয়দের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়।

মিরারচর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক জুনায়েদ কবীর বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসসহ চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল হাসপাতালে প্রতিদিনই অসংখ্য রোগি চিকিৎসা নিতে কালী নদী পার হতে হয়। এ নদীতে সেতু নির্মিত হলে স্বল্প সময়ে গ্রামের মানুষ সহজেই চিকিৎসা সেবা পাবে।

তেয়ারিরচর গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল আলম বলেন, সেতুর অভাবে দুই পাড়ের মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জন্মের পর থেকে শুনে আসছি কালী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হবে, কিন্তু সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে মনে হচ্ছে।

সাদেকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব ফজলুল হক মাস্টার বলেন, কালী নদীর ওপর সেতু নির্মিত হলে দুই উপজেলার ১০টির বেশি গ্রামে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চাকা প্রসারিত হবে।

আরও পড়ুনঃ  হতাশায় বিক্রেতারা

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সায়দুল্লাহ মিয়া বলেন, এ সরকারের আমলে উপজেলার সাত ইউনিয়নে সমানভাবে উন্নয়নমূলক কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সাদেকপুর ইউনিয়নে ১৫ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন